ডিসি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান
ঘূর্ণিঝড় “মোখা’ মোকাবেলায় বাগেরহাটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান (বিপিএএ) এর সভাপতিত্বে জুম অনলাইনে অনুষ্টিত এ সভায় জেলার সকল বিভাগ ও দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সকল উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ জনপ্রতিনিধি ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঘূর্ণিঝড় “মোখা’ মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির বিষয়ে মতামত গ্রহণ ও নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সাথে জেলার ৩৪৪ টি আশ্রকেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি উপলক্ষে ডিসি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান (বিপিএএ) বলেন, আমদের ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়ন কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় শুকনা খাবার ও পানিসহ চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রয়োজন দেখা দিলেই সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউএনওদের বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হবে।’ জেলা প্রশাসকের ভাষায়,‘ দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগ কালিন এবং দুর্যোগ পরবর্তি সকল ধরণের সমন্বিত প্রস্তুতি আমরা গ্রহন করছি। মানুষ যত বেশী সচেতন হবে, ক্ষয় ক্ষতি তত কম হবে।” সিভিল সার্জন ডা: জালাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ১০ টি মেডিক্যাল টীম ইতোমধ্যে গঠন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা সদরসহ প্রতি উপজেলায় কুইক রেসপন্সটীম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সাগরে থাকা ফিশিং ট্রলার ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে বলে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মো: বেলায়েত হোসেন জানান।
এদিকে কোস্টগার্ডে ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও বিভিন্ন নদ-নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় আমাদের এলাকায় আঘাত হানে তাহলে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্র অথবা কোস্টগার্ডের বেজ ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এমএস