আটক স্বামী-স্ত্রী
মাদারীপুরে টিনের বেড়া কেটে চুরি করতে ঘরে প্রবেশ করার সময় আটক ব্যক্তির গণপিটুতে মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দু‘জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত ৩টার দিকে মাদারীপুরের রাজৈরের পূর্ব নাগরদি এলাকার সুকদেব মালোর বাড়ির ওঠানে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত নিহত গোবিন্দ রায় (৪৫) হোসেনপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান এলাকার তারাপদ রায়ের ছেলে। আটককৃতরা হলো, পূর্ব নাগরদি এলাকার সুকদেব মালো (৫০) ও তার স্ত্রী বিথি মালো (৪৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ৩টার দিকে মাদারীপুরের রাজৈরের পূর্ব নাগরদি এলাকার সুকদেব মালোর টিনসেট ঘরের বেড়া কেটে ভেতরে প্রবেশ করে গোবিন্দ রায় নামে এক ব্যক্তি। ঘরের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে আটক করে। পরে প্রতিবেশি আকাশ ও সুমনের সহযোগিতায় গোবিন্দকে গণপিটুনী দেয়া হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই যুবক। বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশ’ মিটার দুরে সড়কের পাশের একটি দোকানের সামনে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা।
পরে মঙ্গলবার ভোরে ত্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবী করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এদিকে এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ওই এলাকার আকাশ মালো ও সুমন মালো এখনো পলাতক রয়েছে।
নিহত গোবিন্দের বন্ধু সলেমান বলেন, ‘আমার বন্ধুকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের কঠিন বিচার চাই। নিরহ লোকটাকে ৮-১০ জনে মিলে হত্যা করেছে। পরে লাশ আরেক জায়গায় ফেলে রেখে যায় অপরাধীরা। এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যেতে অন্যকেউ করতে সাহস না পায় এমন বিচার চাই।’
রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুকদেব মালো ও তার স্ত্রী বিথিকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। এছাড়া আটকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লাঠি জব্দ করা হয়েছে।’
এমএস