ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পোশাক কারখানার গ্যাস লাইনে বিষ্ফোরণ, দগ্ধ ও আহত ২১

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর 

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১ মে ২০২৩; আপডেট: ১৮:১৫, ১ মে ২০২৩

পোশাক কারখানার গ্যাস লাইনে বিষ্ফোরণ, দগ্ধ ও আহত ২১

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট

গাজীপুরে মন্ডল গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আগুনে দগ্ধ হয়েছেন ওই কারখানার অন্ততঃ ১৬-২১ জন কর্মী। 
সোমবার মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন জরুন এলাকাস্থিত মন্ডল গ্রুপের কটন বিডি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টার কিছু সময় পর কটন বিডি কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হতে থাকে। একপর্যায়ে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে ওই কারখানার অন্ততঃ ১৬-২১ জন শ্রমিক দগ্ধ ও আহত হয়। এ সময় কারখানার ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানো হয়। পরে দগ্ধ ও আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বান ইউনিট হাসপাতালে নেয়া হয়। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দগ্ধ ও আতদের মধ্যে ১১জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ও ১০ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটের চিকিৎসক আইয়ুব হোসেন জানান, এখানে বেশ কয়েকজনকে আনা হলেও ৫ জনকে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। 

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কারখানার লোকজনের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আহত ও দগ্ধদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। মে দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিনে মিল কারখানা বন্ধ থাকায় গ্যাস লাইনে গ্যাসের চাপ (প্রেসার) বেড়ে যায়। এতে অতিরিক্ত চাপের কারণে গ্যাস সরবরাহ রুমের (আরএমএস) একটি বালব লিকেজ হয়ে তা ফেটে বিষ্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।  

কারখানার মহা ব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, বন্ধের দিন হওয়ায় ঘটনার সময় কারখানায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল।

আহতরা হলো ক্লিনার ফজলু (৫৫), নিরাপত্তা কর্মী সোহেল (২৫), চান মিয়া (২৮), সুইং অপারেটর সবুর (৩০), নিরাপত্তা ইনচার্জ কামাল (৫২), আবুল হোসেন (৪০), ইলেক্ট্রিশিয়ান আরিফুল ইসলাম (২৫), রাকিব (৩৫), রাসেল (৩৫), রাকিব (৩০), লাইন চীফ হারুন-অর রশীদ (৩৫), মানব সম্পদ অফিসার তসিরুল (৪০), স্যাম্পল ম্যান আল-আমিন (৩০), কোয়ালিটি ব্যাবস্থাপক আসলাম হোসেন (৩৫) এবং ডেইলী লেবার ফজলুল হক (৩৫), খোকন (৩০) ও আব্দুল হক (৩০)।

 

এমএইচ/এমএস

×