দেশীয় অস্ত্রের টিকটক ভিডিও
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিল্লাল মৃধা এবার নিজের ফেসবুক আইডিতে দেশীয় অস্ত্রের টিকটক ভিডিও পোষ্ট করে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে তাকে খুঁজছে পুলিশ।
রবিবার (৯ এপ্রিল) সকাল আটটার দিকে তার নিজের আইডিতে দেশীয় অস্ত্রের টিকটক ভিডিও পোষ্ট করা হয়। এ ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হলে প্রায় চার ঘণ্টা পরে পোষ্টটি তিনি তার আইডি থেকে মুছে ফেলেন। ততক্ষণে টিকটক ভিডিও পোষ্টটি বিভিন্ন জনের কাছে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিল্লাল মৃধা বলেন, ‘টিকটক ভিডিওটি আমার ফেসবুক আইডি থেকে পোষ্ট করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু এটা আমি পোষ্ট করিনি। গত কয়েক মাস আগে আমার মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়। এরপর আজ সকালে কে বা কাহারা আমার আইডিতে টিকটক ভিডিও পোষ্ট করে আমি পরে যখন জানতে পেরেছি তখন ডিলিট করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকটক ভিডিওতে যার ছবি-ভিডিও দেখা যাচ্ছে ওটা আমার ছবি নয়। আমার ছবির সাথে মিলিয়ে দেখেন, ওটা আমি নই। কার ভিডিও তাও বলতে পারবো না।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোরতুজা আলী তমাল বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমিও বিষয়টি জানতে পেরেছি। কোনো দ্বায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে এমনটি কাম্য নয়। আর কোনো অন্যায় অবৈধ ও খারাপ কাজের দ্বায়ভার উপজেলা ছাত্রলীগ বহন করবে না। যদিও এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তারপরও বিষয়টি তদন্তপূর্বক এর সত্যতা পাওয়া গেলে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনোভাবেই অপরাধীদের জায়গা উপজেলা ছাত্রলীগে হবে না।’
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহিম আহামেদ বলেন, ‘সংগঠন পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত হলে তিনি যেই হোক কোনো ছাড় নেই। তদন্তপূর্বক এর সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাকে খোঁজা হচ্ছে। তাকে পাওয়া গেলে কেনো তিনি এগুলো করেছেন, অস্ত্র আছে কিনা বিস্তারিত জানা যাবে। এ বিষয়ে পুলিশ গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে।’
এর আগে গত ২৭ মার্চ কোমরে পিস্তল গুঁজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি পোস্ট করায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্রদেব ওরফে সুদেব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনসহ জনমনে অস্থিরতা/বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে মামলা পরবর্তী কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এমএইচ