বাবা-ছেলেকে নির্যাতন
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকিয়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর ও তার বাবাকে অমানবিক নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
পরে এ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত মো. কুতুবউদ্দিন (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম রবিবার জনকন্ঠকে জানান, গত শুক্রবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে সোমবার মধুখালী থানায় ১২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রধান অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩জন এই মামলায় জামিনে আছে। বাকি জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের পরিবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি নামক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তবে, তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরাতে। ওই কিশোর ও তার বাবা পৃথক দুটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। কিশোরের মা প্রবাসে রয়েছেন। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠা শিশু তার সৎ বোন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ওই কিশোরের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সৎ বোনকে যৌন নির্যাতন করে আসছে বাবা-ছেলে মিলে। আর এমন অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের রায়পুরা ইউনিয়নের আড়–য়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে আটকিয়ে কয়েকজন যুবক ও ১ তরুনী মিলে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতন করে।
পরে, নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। নির্যাতনকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী তোলা হয়।
এব্যাপারে মধুখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতনের স্থান হিসাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কক্ষ ব্যবহার করা দুঃখজনক । এব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ ঘটনায় ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও শিক্ষকরা জড়িত আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
এমএস