ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ঘিওরে দুই বছরেও চালু হয়নি সৌর সেচ প্রকল্প

সংবাদদাতা, ঘিওর, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:৪৩, ২৪ মার্চ ২০২৩

ঘিওরে দুই বছরেও চালু হয়নি সৌর সেচ প্রকল্প

মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিএডিসির সৌরসেচ প্রকল্প 

ঘিওরে দুই বছরেও চালু হয়নি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) নির্মিত সোলার প্যানেল সিস্টেম কৃষি সেচপাম্প। এতে কৃষি এবং কৃষকদের উন্নয়নে কোনো কাজে আসছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় সরকারি প্রকল্পের সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শতাধিক কৃষক।
জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ধান এবং রবিশস্য আবাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের নদীর উত্তরপাড় চর ঘিওর এলাকায় একটি ‘সোলার প্যানেল সেচ পাম্প’ স্থাপন করে। প্রকল্পটিতে ব্যয় হয় ২০ লাখ ৬৬ হাজার ৬শত ৯৭ টাকা। এ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে খরচ ছাড়াই কৃষকদের সেচ সুবিধা পাওয়ার কথা। কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আমি বিদ্যুৎ চালিত মোটর বসিয়ে ব্যক্তিগত তিন বিঘা এবং অন্যদের আরও ১৭ বিঘা জমিতে বোরো ধানে পানি দিচ্ছি।

বর্তমানে তেল এবং বিদ্যুতের দাম বাড়তি। বিএডিসির সোলার সেচ না পেয়ে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ দিয়ে সেচ চালাচ্ছি। স্থানীয় কৃষক জহির মিয়া, দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রতি বিঘায় এক হাজার টাকা হারে সেচ খরচ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালু না হওয়ায়, বাড়তি খরচে বিদ্যুৎ চালিত সেচ দিয়ে ইরিবোরো আবাদ করেছেন। 
সৌর পাম্প দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার দুলাল শিকদার বলেন, দুই বছর যাবত এই প্রকল্পের দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো বেতন পাইনি। স্কিম ম্যানেজার ও সমিতির কোষাধ্যক্ষ রুহুল খান বলেন, পাম্পটি চালু করার জন্য কৃষকদের সঙ্গে কয়েকবার মিটিং করেছি। পাম্পটি পরিচালনার জন্য একজন শ্রমিকও রেখেছি। এটা আমাদের গাফিলতি না, বিএডিসি কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তিন দফা চেষ্টা করেও পাম্প চালু করা সম্ভব হয়নি।
জেলা বিএডিসি (সেচ বিভাগের) সহকারী প্রকৌশলী তিতাস জানান, ৩ মাস ধরে পাম্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের পাম্প চালানোর জন্য তাগিদ দিয়েছি। মূলত এখানে কৃষকদের কোন্দলের কারণে পাম্পটি মৌসুমের শুরুতে চালু করা যায়নি। এখন কোন্দল মিটে গেছে, কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চালু হচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মেকানিক এসে পাম্পটি চালু করার কথা রয়েছে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, সোলার সেচপাম্প প্রকল্পটি কেন চালু হচ্ছে না এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে পাম্পটি চালু করার ব্যবস্থা করা হবে।

×