চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ভাঙচুর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চশমার প্রার্থী ও নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়েপক্ষের স্কুলছাত্রীসহ ১১ জন আহত হয়েছে।
শনিবার রাত ৮ থেকে শুরু হয়ে দফায় দফায় রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত নাগদহ ইউনিয়নের জহুরুলনগর ও বলিয়ারপুর গ্রামে এ ঘটে ঘটনা।
আহতরা হলেন- নৌকা প্রতীকের জহুরুলনগর ক্লাব পাড়ার খবির উদ্দিন (৫৫), তার দুই ভাই আনিছুর রহমান (৪৫) ও দবির উদ্দিন (৪০), মিয়াজান (৩৫), আকরাম হোসেন (৩৬), বলিয়ারপুর গ্রামের আব্দুস সেলিম (৪৬), বাবলুর রহমান (৫০) ও কেসমত আলী (৪০)।
চশমা প্রতীকের বলিয়ারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বুদো (৪০), তার ছেলে মামুনুর রশিদ (২৪) ও মেয়ে নাগদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা আক্তার (১৫)।
নৌকার প্রার্থী হায়াত আলীর ভাই আশিক ইকবাল স্বপন জানান, শনিবার রাতে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল করছিলাম। এ সময় চশমার প্রার্থীর কর্মীদের সাথে আমাদের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে তারা আমাদের কর্মীদের লাঠিশোঠা, রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে আমাদের ৮ জন কর্মী রক্তাক্ত জখম হয়।
চশমা প্রতীকের প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল বলেন, শনিবার রাতে হিংসামুলকভাবে নৌকার কর্মীরা আমার অফিস ভাংচুর করে। পরে তারা নিজেরাই নিজেদের অফিস ভাংচুর করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে। শুধু তাইনা, নৌকার কর্মীরা আমার কর্মী ইসরাইস হোসেন বুদোর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়ি ভাংচুর করে এবং তার ছেলে ও মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ১১ জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিয়েছি। আহতদের মধ্যে দবির উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। চশমার অফিস ও তার কয়েকটা মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। এতে উভয়পক্ষের ক’একজন আহত হয়েছে বলে জেনেছি। এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। পরবর্তীতে এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এমএস