ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর 

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ৬ মার্চ ২০২৩; আপডেট: ১৭:১৬, ৬ মার্চ ২০২৩

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান

হাসপাতালে দুদকের অভিযান

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর ও দুদকের হট লাইন ১০৬ নম্বরে কলের মাধ্যমে রোগীর দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওষুধ ক্রয়, বিতরণসহ নানা অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। এতে ক্ষুব্ধ রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কথা বলতে না চাইলেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানায় দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের হট লাইনে রোগীদের দেয়া অভিযোগ ও একাধিক পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে অভিযানে যায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। 

সোমবার (৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ৭ জন সদস্য। বিভিন্ন ধরণের নথি যাছাই ও রোগীর সাথে কথা বলেন তারা। এ সময় সরকারি ওষুধ ক্রয় ও বিতরণসহ নানা অনিয়য়ের প্রাথমিক সত্যতা পান কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে আইনী প্রক্রিয়া নেয়া হবে বলে জানায় সংস্থাটি। 

তবে এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে কথা বলতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা। মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনাচনা গ্রাম থেকে হাসপাতালে আসা রোগী বাবুল আক্তার বলেন, ‘অধিকাংশ ওষুধ বাহির থেকে কিনে নিয়ে আসতে হয়েছে। তাদের কাছে চাইলে বলে, সরবরাহ নেই।’
মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর থেকে আসা মরিয়ম বেগম নামে আরেক রোগী বলেন, ‘রোগ ভাল করতে হলে বাহির থেকে ওষুধ কিনে নিতে হয়। ডাক্তার যে যে ওষুধ লিখে, তা হাসপাতালে পাওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে এমন স্বাস্থ্যসেবা লজ্জাজনক।’

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শিহাব চৌধুরী বলেন, ‘গণমাধ্যমে কথা বলতে নিষেধ আছে। এ ব্যাপারে বক্তব্য দিবে সিভিল সার্জন স্যার। আমি কিছুই বলতে পারবো না।’

মাদারীপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান জানান, ‘একাধিক অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে অভিযানে যায় দুদকের একটি চৌকস দল। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পাওয়ার বিষয় প্রধান কার্যালয়ে লিখিত পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে এ ব্যাপারে জানতে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকায় এমনকি অফিসে গিয়েও তার দেখা মেলেনি। 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×