ভারতীয় নাগরিক
ভোলায় শহরের জাহান আবাসিক হোটেল থেকে মনোজ ভাট (৩৫) নামে ভারতীয় এক নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ সময় তার সঙ্গী অপর ৫ জন ভারতীয় নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এদিকে গত ১২ দিন ভারতীয় ৬ নাগরিক ভোলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন শিখানোর ঘটনা নিয়ে নান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, গত ১৬ ফেব্রয়ারি বাংলাদেশে ৬২ জনের একটি টিম ভারত থেকে এসেছে। তাদের মধ্যে ৬ জন ভোলায় আসে।
পুলিশ ও হোটেল কৃর্তপক্ষ সহ বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারী ভারতের রাজস্থানের পলি জেলার মোজত রোডের বাসিন্দা মনোজ ভাট, রায় কিশান, ভুশন রাম,জয়পাল, নরেশ কুমার ও বাথ রাডি কুমারসহ ৬ জন ভোলা সদর উপজেলার জাহান হোটেলের ২টি কক্ষ ভাড়া নেয়।
হোটেলের ২০৬ নং কক্ষে সোমবার রাতে মনোজ ভাটসহ জয় ও ভূশন ঘুমিয়ে ছিলো। সকালে ওই কক্ষে মনোজ ভাটের মৃতদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করে।
জানাযায়,গত রাতে ঘুমানোর আগে মনোজ ভাট এর বুকে ব্যাথা কথা তার সঙ্গীদের বলেছিলো। পরে ঘুমিয়ে যায়। সকালে জয় ও ভূশন মনোজকে ডাকা ডাকি করলে তারা তাকে মৃত দেখতে পায়।
জাহান হোটেলে ব্যবস্থাপক মো: ইকবাল জানান, গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় ৬ জন তাদের হোটেলে আসেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ১ জন মারা গেছে বলে জানান। তারা বাংলা ভাষা বুঝে না। গত রাতে মৃত ব্যক্তির পেটে ব্যাথা হয়। সাথে তার এক ভাই রয়েছে। তারা বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের ছবি আকাঁ শিখাতো।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানান, তারা ভোলার বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বাচ্চাদের ফেনসি আর্ট শিখাতো এবং ৩০ টাকা করে বই বিক্রি করতো।
ভোলা আবদুল মান্নান মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়র সহকারী শিক্ষক এম ছিদ্দিকুল্লাহ জানান, সোমবার ভারতীয় কিসান নামে এক ব্যক্তি ওই স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাগজ দিয়ে কিভাবে ফুল বানানো হয় তা দেখান। সে নিজেকে ভারতের গুজরাট কলেজের আর্ট এবং সংস্কৃতির শিক্ষক পরিচয় দেন।
ভোলা মডেল থানার ওসি শাহীন ফকির জানান, ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ তারা উদ্ধার করেছে। সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সিদ্বান্ত হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় ৫ নাগরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। তার এজেন্সি বা কোন প্রক্রিয়ায় এখানে কাজ করেছে তার যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পুলিশের সাথে ভারতীয় দূতাবাসের কথা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হলে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এমএস