ছুরিকাঘাত
রংপুরের পীরগাছায় মতের বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ায় পুলিশের এসআই বাবা ফজল মাহমুদকে (৫০) ছুরিকাঘাত করার মামলায় দুই মেয়েকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, জোর করে এইচএসসি পড়ুয়া মেয়েকে (২০) বিয়ের নিবন্ধনের জন্য স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিলেন বাবা। এর তিন মাস পর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের অনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। কাজী বিয়ে পড়ানো শুরু করলেই ঘটে বিপত্তি। মেয়ের মুখে কবুল শোনার জন্য ঘরের ভেতরে ঢুকলেই বাবাকে ছুরিকাঘাত করেন ওই তরুণী।
ছুরিকাঘাত এর ঘটনার পর দিন ফজল মাহমুদ তার দুই মেয়ের নামে মামলা করেন। মামলায় বড় মেয়েকে কারাগারে এবং ছোট মেয়েকে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়েছে আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা ফজল মাহমুদের স্ত্রী অনেক আগেই মারা গেছেন। তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে পীরগাছায় একটি গ্রামে থাকতেন। তিন মাস আগে পুলিশ কর্মকর্তার বড় মেয়ের সঙ্গে নৌবাহিনীতে কর্মরত এক যুবকের বিয়ের নিবন্ধন করানো হয়। এই বিয়েতে ওই তরুণীর মত ছিল না। গত শুক্রবার রাতে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তারা আরও জানায়, কাজী বিয়ের পড়ানোর সময় মেয়ে ‘কবুল’ বলছিলেন না। একপর্যায়ে কনে তার বাবা বাদে ঘরে উপস্থিত সবাইকে বাইরে যেতে বলে। পরে হঠাৎ করেই মেয়ে তার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তার চিৎকারে বাইরের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার দুই মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাদী হয়ে দুই মেয়েসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
এমএইচ