সংঘর্ষে আহত
বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপণ্য, কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি, খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে জামালপুরে পদযাত্রা করেছে বিএনপি। অপরদিকে শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এ সময় কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
সংর্ঘষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩৪ রাউন্ড গুলি ও ৪ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের ন্যায় জেলার সাতটি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরদিকে বিএনপির আয়োজনে পদযাত্রা কর্মসুচি পালিত হয়।
এ কর্মসুচি পালনকালে সদর উপজেলার তিতপল্লা, ঘোড়াধাপ, দিগপাইত ও বাঁশচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষে তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দৌলতুজ্জামান, যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, শাহীনসহ উভয় পক্ষের ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
অপরদিকে, বিকাল ৩টার দিকে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান স্বপনসহ অন্যন্যা নেতারা।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন অভিযোগ করে বলেন, পদযাত্রা কর্মসূচিতে যাবার সময় সদর উপজেলার তিতপল্লা, ঘোড়াধাপ, দিগপাইত ও বাঁশচড়া ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী লীগ হামলা চালায়। এতে বিএনপির অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত এবং একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিতপল্ল্যা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজগরসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বলেন, তাদের রাজনীতিই তো মিথ্যাচারের উপর। আমাদের নির্ধারিত স্থানে শান্তি সমাবেশ ছিল। আর তাদের ছিল পদযাত্রা। তারা পদযাত্রা নিয়ে এসে আমাদের শান্তিপূর্ণ শান্তি সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। মুল ঘটনা হচ্ছে এটা। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা বলতেছে, ওদের পদযাত্রায় আমরা হামলা করেছি। মিথ্যাচারের মধ্য দিয়েই জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্ম এবং তারা সেই মিথ্যাচার অব্যাহত রেখেছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনে ওয়াজ জানান, আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিএনপি হামলা করে। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের উপরও হামলা চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেন।
এমএইচ