ফাঁসির রায় শুনে আদালতে লুটিয়ে পড়েন অভিযুক্ত নারী।
কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের পরকীয়ার বলি হয়েছে দুই শিশু। এ ঘটনায় করা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াসমিন আক্তার (২৮) হলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মো. বাবুল হোসেনের স্ত্রী এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত নারী একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪৩)। তিনি ইয়াসমিনের চাচি শাশুড়ি।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মো. বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এটা দেখে ফেলায় দেবরের ছেলে সিয়ামকে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন এই নারী। সেই ঘটনা দেখে ফেলায় জসিম নামে আরেক শিশুকেও জবাই করে হত্যা করেন ইয়াসমিন। পরে মরদেহ খালে ডুবিয়ে দেন। আর এই কাজে সহযোগীতা করেন তার চাচি শাশুড়ি মাজেদা বেগম।
স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। আর সহযোগি চাচি শাশুড়ি মাজেদা বেগম ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান। গত বছর র্যাব-১১ তাকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে আটক করে।
২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল নিহত আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে প্রধান ও মাজেদা বেগমকে সহযোগি এবং অজ্ঞাত আরও দুই/তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এমএইচ