ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

পরকীয়ায় হ্যাট্রিক নিয়ামতপুর সঃপ্রাঃবিঃ প্রধান শিক্ষকের

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ  

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

পরকীয়ায় হ্যাট্রিক নিয়ামতপুর সঃপ্রাঃবিঃ প্রধান শিক্ষকের

প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন

জাতির বিবেক একজন শিক্ষক। এমন একজন শিক্ষক সমাজের সবচেয়ে জঘন্য কাজ করে হ্যাট্রিক করেছেন। তিনি উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আদমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পাড়ইল ইউনিয়নের কুমারপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমান মতির ছেলে আলাউদ্দিন।

প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, গত  ১৭ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১০টার সময় একই গ্রামের জিয়াউল হক শুকুরের স্ত্রী লুৎফুনের (৩০) সাথে জিয়াউল হকের বাড়ির বাইরে আপত্তিকর অবস্থায় জিয়াউল হক নিজেই তার স্ত্রী ও আলাউদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে চিৎকার দিতে শুরু করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে আলাউদ্দিন ও লুৎফুনকে আটকে রাখার চেষ্ট করলে আলাউদ্দিন কোন রকমে পালিয়ে যায়। 

বিষয়টি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ট করা হয়। এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। একজন শিক্ষক হয়ে বার বার এ রকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে যাবে তা হতে পারে না। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী কালামের স্ত্রী মাজেদা বলেন, শুকুরের চিৎকার শুনে আমরা মনে করেছিলাম চোর এসেছে, তাই আমরা বাইরে এসে দেখি জিয়াউলের স্ত্রী লুৎফুন ও মাষ্টার আলাউদ্দিনকে জিয়াউল জাপটে ধরে রেখেছে। লুৎফন ও আলাউদ্দিন তখন বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। পরে আলাউদ্দিন কোন রকমে পালিয়ে যায়।

আদমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরকীয়ায় হ্যাট্রিককারী আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে হ্যানস্তা করার জন্য এলাকার কিছু মানুষ মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে জিয়াউল হকের বাড়িতে সরেজমিনে গেলে তারা এ প্রতিবেদকের সাথে কোন কথা বলতে রাজী হননি। বরং রাগান্বিত হয়ে জিয়াউল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, এখন কিছু বলা যাবে না। আমার মাথা ঠিক নাই। সময় হলে আপনাদের ডাকা হবে। 

লুৎফুনের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার মরশিভ’জা গ্রামে। আমি ঘটনাটি শুনার পর মেয়ের বাড়িতে এসেছি। এখন আমি কিছু বলতে পারবো না। পরে জানাবো।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল আলম জানান, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে দেখা যাবে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, আলাউদ্দিন ইতোপূর্বে (১০/১১ বছর পূর্বে)  একই গ্রামের শরিফুলের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় ধরা খেয়ে ৩৫ হাজার টাকা এবং এক মাস পূর্বে তজিবরের স্ত্রীর সাথে ধরা খেয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। 
 
 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×