ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

১৭তম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর  

প্রকাশিত: ২০:২০, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩

১৭তম স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড

মৃত্যুদন্ড

রংপুরের পীরগঞ্জে ১৭তম স্ত্রী তানজিনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী আবু সাঈদের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আসামি আবু সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তবে তাছকিরা বেগমও পলাতক রয়েছেন। ঘটনার ১৬ বছর পর হত্যা মামলায় আদালত এ রায় দেন। 

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবু সাঈদ পলাতক ছিলেন। 

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের সঙ্গে ওই উপজেলার পালগড় গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের বিয়ে হয়। তানজিনা ছিলেন আবু সাঈদের ১৭তম স্ত্রী। পরবর্তীতে আবু সাঈদ তাছকিরা বেগম নামে আরও এক নারীকে নিয়ে করেন।

ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আবু সাঈদ (তৎকালীন বয়স ৪২) তার নববিবাহিত স্ত্রী তাছকিরার (তৎকালীন বয়স ২০) সহযোগিতায় তানজিনাকে (তৎকালীন বয়স ৩২) পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তানজিনার বাবা তাজিম উদ্দিন।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক। ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। 

২০১০ সালের ২৬ জুলাই জামিন পেয়ে কিছুদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক রয়েছেন আসামি আবু সাঈদ। অপরদিকে তাছকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়ে ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে পলাতক। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি তাজিবুর রহমান লাইজু জানান, অভিযুক্ত আবু সাঈদ যৌতুকের লোভে একের পর এক বিয়ে করছিলেন। তানজিনাকে বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের মধ্যে ১০ টাকা দেন তার বাবা। বাকি ১৫ হাজার টাকার দাবিতে তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আবু সাঈদের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করছি।

 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×