অ্যাকশনে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
গায়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গাড়ি, কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। এঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে জারুর গোষ্ঠী এবং বারঘরিয়া লোকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে এবং ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মুন্সিবাড়িতে ওয়াজ মাহফিল হয়। এতে রাস্তার ওপর কিছু দোকানপাট বসে রাস্তা প্রায় বন্ধ থাকে। এসময় জারুর বাড়ির মো. রুহুল আমিন সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে যেতে চাইলে একজনের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন রুহুলকে মারধর ও অটোরিকশাটি ভেঙে দেয়।
জানা যায়, রুহুল ঘটনাটি বাড়িতে জানালে স্থানীয়রা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর দুটি অটোরিকশা আটক করে। এদিকে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন অটোরিকশা ফেরত ও বিষয়টি সমাধানে দুর্গাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. রাসেল মিয়াকে জানান। তিনি বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মো. মিজান মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনেন। মিজান মেম্বার রাসেল চেয়ারম্যানের বাড়িতে এলে চেয়ারম্যানের সামনেই জারুর গোষ্ঠীর লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় দা-বল্লম নিয়ে জারুর গোষ্ঠীর লোকজনের ওপর হামলা করে। জারুর গোষ্ঠীর লোকজনও পাল্টা হামলা করে। ওই দিন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, আজ শনিবার আবারও উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ব্যাপী চলে সংঘর্ষ।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।
এমএইচ