নবজাতক শিশু
জামালপুররের বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে কর্মরত এক নার্সের অপচিকিৎসার কারনে নবজাতক এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই নার্স মার্জিয়া বেগমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ৯ জানুয়ারি সোমবার বিকালে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে এসে ঘটানার তদন্ত করলেন জামালপুর সিভিল সার্জন ডাঃ প্রণয় কান্তি দাস। অভিযোগে জানা গেছে,বকশিগঞ্জ উপজেলার সাতানী পাড়া গ্রামের হানিফ মিয়ার কন্যা পুরবী বেগম প্রসব ব্যাথা নিয়ে ২৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টার সময় নিরাপদ ডেলিভারীর জন্য বকশিগঞ্জ হাসপাতালে আসেন।
এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স মার্জিয়া হাসপাতালে ডাক্তার নেই বলে তার বাসায় নিয়ে যায়। এসময় চিকিৎসার কথা বলে হানিফ মিয়ার কাছে ৩৫০০/- টাকা নেই মর্জিয়া। নিরাপদ প্রসবের নামে অপচিকিৎসা দেওয়ার ফলে প্রসূতি আরো গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় হানিফ মিয়া তার প্রসূতি কন্যার আত্মচিৎকার শুনে তার অবস্থা অবনতির হলে নার্স মার্জিয়া হানিফ মিয়ার সাথে খারাপ আচরণ করে। রোগীসহ তার বাসা থেকে গভীর রাতে বের করে দেই দেয়।
হানিফ মিয়ার জনকন্ঠকে বলেন, তাদের সাথে প্রতারণা করে হাসপাতাল গেইট থেকে নার্স মার্জিয়া ভুল বুঝিয়ে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে তার কন্যা পুরবী বেগমকে ভুল চিকিৎসা দেয়। এতে প্রসূতির যন্ত্রনা বেড়ে গেলে তাদের সাথে নার্স মার্জিয়া খারাপ আচরণ করে।
নার্স মার্জিয়া অপচিকিৎসা এবং অবহেলার কারনে পুরবী বেগমের গর্ভেই বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে বলে হানিফ মিয়ার অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী হানিফ মিয়া বকশিগঞ্জ হাসপাতালের কর্মকর্তা বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছে।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ জানুয়ারি জামালপুর সিভিল সার্জন ডাঃ প্রণয় কান্তি দাস তদন্ত করেছেন। তদন্তকালে সাংবাদিকদের জিজ্ঞেসাবাদে জানিয়েছেন,নার্স মার্জিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএস