গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত সদস্যরা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে ডাকাতি করার সময় ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা তিন রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে।
এ সময় ডাকাতদের হামলায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাবিবুর রহমান ও কনস্টেবল আনোয়ার সুলতান নামে দুই নৌ-পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গোলাগুলির পর স্থানীয়দের সহায়তায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের গণপিটুনীতে ও শর্টগানের গুলিতে ৫ ডাকাত আহত হয়েছে। এ সময় তিনটি টর্চলাইটসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় বক্তাবলীর চর রাজাপুর এলাকায় একটি বাল্কহেডে ডাকাতির সময় এ ঘটনাটি ঘটে।
শনিবার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. নান্নু মিয়া।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলে- ময়না খান (৩০), বাবুল হক (৫৫), আরাফাত হালদার (৩০), হারুন বেপারী (৫০), মো. হৃদয় খান (২১), শাহ আলম (৫০), শাহ জাহান খান (৫২) ও সোজাত হালদার (৪০)।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে একটি বাল্কহেডে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয় একদল ডাকাত। এ সময় বাল্কহেডের শ্রমিকরা চিৎকার শুরু করলে নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এ সময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে।
এ সময় ডাকাতদের হামলায় পুলিশের ২ দুই সদস্য আহত হয়। বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. নান্নু মিয়া জানান, বাল্কহেডে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা তিন রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে।
ডাকাতদের হামলায় নৌ-পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়। পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তা ৮জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে তিনটি টর্চ লাইট ও তলোয়ার, শাবলসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এমএস