আহত ব্যক্তিরা
বাগেরহাটের রামপালে ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্ধে রবিবার রাতে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন পক্ষ রামপাল থানায় কোন অভিযোগ দাখিল করেনি।
আহতরা হলেন, আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোস্তফা ফকিরের পুত্র ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন ফকির (৪৫), একই গ্রামের নূর মোহাম্মদের পুত্র আজাহার শেখ (৫৫), আশ্বাব আলী শেখের পুত্র হাসমত শেখ (৫৪), বাচ্চু শেখের পুত্র কামরুল শেখ (৩০), আজাহার শেখের পুত্র রেজাউল শেখ (৩০), মুনসুর মোল্লার পুত্র রুহুল আমিন (৬৫), শাহাজান শেখের পুত্র শাহাবুদ্দিন (৩০) এবং প্রতিপক্ষের সাতপুকুরিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও তৈয়ব মাঝির পুত্র আনিস মাঝি (৪৮), ইউনুস মাঝি (৫২) ও হাসিব মাঝি (৩৫) এবং আনিস মাঝির পুত্র হুরাইরা মাঝি (১৮)।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত কামরুল শেখকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের মধ্যে আনিস মাঝি, ইউনুস মাঝি ও হাসিবকে খুমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্ব থেকেই ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। উভয়পক্ষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
রবিবার রাত সন্ধা সাড়ে ৮ টার দিকে আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামে আ. হাকিমের পুত্র সাইফুল নামের এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ পান আনিস মাঝি। আনিস মাঝিসহ তার লোকজন সাইফুল কে উদ্ধারে ঠাকুর পুকুর পাড়ে যান। সেখানে গেলে উভয়ের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটছে। আনিস মাঝি অভিযোগ করে বলেন সাইফুলকে উদ্ধারে গেলে মেম্বার গিয়াস ও তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় তারা লোহার রড, হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে আমাদের মারপিট ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভূয়া গুজব ছড়িয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে সন্ত্রাসী আনিস বাহিনী। তারা আমার মাথায় কুপিয়েছে ও কামরুলকে পেটে কুপিয়ে ভূড়ি বের করে দিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
রামপাল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ পত্র দাখিল করেনি। অভিযোগ পত্র পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এমএস