ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

পোলিং এজেন্টকে বেঁধে রাখলেন নির্বাচন কর্মকর্তা 

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

পোলিং এজেন্টকে বেঁধে রাখলেন নির্বাচন কর্মকর্তা 

পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে পোলিং এজেন্টকে

এক নারী ভোটারকে ইভিএম এ ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ায় পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেন সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেলিম। এ সময় এক নারী ভোটারকে ইভিএম এ ভোট দেওয়ার পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পোলিং এজেন্টকে  পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখেন সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা।

সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘অনিয়ম করলেই শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাত্র একজনকে বেঁধে রেখেছি।’

দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় মো. সেলিম বলেন, ‘ইভিএম নতুন পদ্ধতি। নারীরা কখনও ইভিএম এ ভোট দেয়নি। আমি তাদের দেখিয়ে দিয়েছি। আমাকে বেঁধে রেখে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। 

তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী জোছনা বেগম বলেন, ‘সব বুথে এভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে। এটা ভোটারদের সুবিধার জন্য। কিন্তু একটা মানুষকে এভাবে বেঁধে রাখার কোনো মানে হয় না। আমি অনেকবার বলেছি আমার কথা শুনে না নির্বাচন কর্মকর্তারা।’ 

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, ‘আমি বিষয়টা মাত্র জেনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছেন বাধন খুলে দিতে। আমি খুলে দিচ্ছি।’

নোয়াখালীর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৫ জন, সাধারণ সদস্যপদে ৯৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ৬০ জনসহ মোট ১৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৮টি কেন্দ্রের ২৫৯টি বুথে ইভিএমে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলছে।

এমএইচ

×