গাজীপুর মহানগর পুলিশ
১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টঙ্গী বিশ্ব এজতেমার আয়োজন উপলক্ষে "সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা" গাজীপুর মহানগর পুলিশের উদ্যোগে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) টঙ্গীর এজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় এমপি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খাঁন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইলিয়াস আহমেদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, প্যানেল মেয়র আবদুল আলীম ও তাবলীগ জামাতের দুপক্ষের যোবায়ের পন্থী ইন্জিনিয়ার মেজবাউদ্দিন, মুফতি আমান উল্লাহ, মাহফুজ হান্না,মোহাম্মদ সেলিম এবং সাদ পন্থীদের মধ্যে ছিলেন, ডঃ আবদুস সালাম, ইন্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ, মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর, ডঃ রেজাউল করিম, হাজী মনির ও টঙ্গী পূর্ব পশ্চিম থানা পুলিশের ওসি আশরাফুল ইসলাম ও শাহ আলম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব এজতেমাকে পূর্নাঙ্গরুপ দান করেন।
মন্ত্রী রাসেল বলেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, কোভিড সংক্রমণ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। চায়না ও ভারতে করোনা সংক্রমন আবার বাড়ছে। কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে অর্থাৎ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মুসুল্লীসহ সকলকে বিশ্বইজতেমা অংশগ্রহণ করতে হবে, যাতে করোনা আবার ছড়িয়ে না যায়।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খাঁন বলেন, ৯৫ বছর আগে ১৯২৭ সালে ভারতে এজতেমার গোড়াপত্তন হয়। ১৯৬৬ সাল থেকে ৫৬ বছর ধরে টঙ্গীতে বিশ্ব এজতেমা চলে আসছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, এজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সিসি টিভি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার ও রুফটপ থেকে পুরো ইজতেমা ময়দানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও স্পেশালাইডজ টিমসহ প্রতিটি খিত্তায় সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। অগ্নি নির্বাপনের জন্য প্রতি খিত্তায় এবার দুটি করে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র রাখা হবে।
এ সময় তিনি দুই পর্বের এজতেমা আয়োজকদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও এজতেমা আয়োজনে কোন বিশৃঙ্খলা হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন। উভয় পক্ষের মুরুব্বিরা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাবলীগ বান্ধব সরকার বলেই আমরা সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি।
সভায় সরকারি বেসরকারি জনস্বার্থ বিভাগ সমূহের প্রতিনিধিরা মধ্যে অংশ নেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসন, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা, হাইওয়ে পুলিশ, গাজীপুর সিভিল সার্জন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ডেসকো, তিতাস গ্যাস, ওয়াসা, বিআরটি, ফায়ার সার্ভিস, জনস্বাস্থ্য বিভাগসহ নানা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিগন সভায় উপস্থিত থেকে তাদের মতামত এবং পরামর্শ উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৩,১৪,১৫ জানুয়ারি ৩ দিন যোবায়ের গ্রুপ আলেমওলেমাদের এজতেমা হবে এবং মাঝখানে ৪ দিন বিরতি দিয়ে সাদ পন্থী গ্রুপের এজতেমা হবে ২০,২১ ও ২২ জানুয়ারি।
এমএস