ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সড়কের পাশ থেকে এক দিনের নবজাতক উদ্ধার 

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর 

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

সড়কের পাশ থেকে এক দিনের নবজাতক উদ্ধার 

নবজাতক উদ্ধার

মাদারীপুরে সড়কের পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। একদিনের শিশুটিকে পরে ভর্তি করা হয়েছে সদর হাসপাতালে নবজাতক কেয়ার ইউনিটে। 

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদারীপুর পৌরসভার বটতলা এলাকার সড়কের পাশ থেকে মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদারীপুর পৌরসভার বটতলা এলাকার কনফেকশনারী দোকানী অলিউর রহমান দোকানঘর পরিস্কার করতে গিয়ে সড়কের পাশে কম্বলে প্যাঁচানো একদিনের নবজাতককে দেখতে পান। পরে পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়া হয়। তাদের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় সদর হাসপাতালের নবজাতক স্পেশাল কেয়ার ইউনিটে। 

নবজাতক উদ্ধারের খবরে দত্তক নিতে আগ্রহীরা অনেকেই ভীড় করছেন হাসপাতালে। এদিকে শিশুটির অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ্য হবার পর সবধরণের আইনী প্রক্রিয়া গ্রহণ করা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দোকানী অলিউর রহমান জানান, শিশুটিকে দেখতে পেয়ে প্রথমে চমকে উঠি। পরে পৌরসভার লোকজনকে খবর দিলে তাদের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ইসরাত হোসেন উজ্জ্বল বলেন, এমন ঘটনায় দোষীদের বিচার হওয়া উচিৎ। উদ্ধার হওয়া শিশুকে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক তত্ত্ববধান ও চিকিৎসা করা হোক এটাই দাবী। মাদারীপুর শহরের কালিবাড়ি এলাকার ইমরান খান ও কুলসুম আক্তার দম্পতি হাসপাতালে গিয়ে বলেন, আমাদের বিয়ে হয়েছে ৮ বছর। কোন সন্তান নেই, সরকারের কাছে দাবী মেয়েটিকে আমাদের দত্তক দেয়া হোক।

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের নবজাতক স্পেশাল কেয়ার ইউনিটের মেডিকেল অফিসার ডা.  নাইমা ফেরদৌস শান্তা জানান, মা-বাবা পরিচয়হীন নবজাতকের ওজন দুই হাজার একশো গ্রাম। তাকে রাখা হয়েছে চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে। ধারণা করা হচ্ছে ৩২ সপ্তাহে শিশু ভুমিষ্ট হয়েছে। সে শঙ্কামুক্ত নয়।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, আশপাশের হাসপাতালে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া শহরের সিসিটিভি ফুটেজও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। শিশুটি সুস্থ্য হলে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক ড. রহিম খাতুন জানান, এই ঘটনার পর জেলা সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। প্রথমে শিশুটির সুস্থ্যতা প্রয়োজন। পরে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×