বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অনশন
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন গার্মেন্টসে চাকুরীরত এক প্রেমিকা। শনিবার বিকাল থেকে প্রেমিক সোহেল রানার বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। প্রেমিকা আসার খবর ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রেমিকাকে এক নজর দেখতে প্রেমিক সোহেল রানার বাড়ীতে ভিড় জমায়। ঘটনাটি ঘটে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমফুলমতি গ্রামে। প্রেমিকা সোহেল রানা ওই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হাছেন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিয়ের দাবিতে অনশনে থাকা ওই প্রেমিকা জানান, ঢাকা জামগড়া এলাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করার সময় পরিচয় হয় প্রেমিক সোহেল রানার সঙ্গে। পরে প্রেমিকা জানতে পারে প্রেমিক সোহেল রানার বাড়ী একই এলাকায় হওয়ায় ৬ মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক সোহেল বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে ওই গার্মেন্টস কর্মী প্রেমিকার মধ্যে শারিরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে। প্রেমিক সোহেল তাকে বিয়ে করার কথা বলে গত এক সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে তার বাড়ীর পাশে বোনের বাড়ীতে নিয়ে আসে। বোনের বাড়ীতে কয়েকদিন থেকে সোহেল তার প্রেমিকাকে তার নিজ বাড়ীতে রেখে আসে। পরে বিষয়টি দুই পরিবারে জানাজানি হলে তাদের বিয়ে প্রেমিকার বাড়ীর লোকজন রাজি হলেও প্রেমিকের পরিবারের লোকজন বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে প্রেমিক সোহেল রানার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় প্রেমিকা হতাশ হয়ে পড়েন। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেছেন গার্মেন্টস কর্মী ওই প্রেমিকা। প্রেমিক সোহেল রানা বিয়ে না পর্যন্ত ওই প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়ীতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।
স্থানীয় সিদ্দিক মিয়া ও জাকারি মিয়া জানান, শুক্রবার বিকাল থেকে ওই প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে সোহেলের বাড়িতে অনশন করছেন।
এদিকে পলাতক থাকায় এ নিয়ে সোহেল রানার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সোহেলের মা সুফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুর রহমান জানান, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি। এ নিয়ে ওই প্রেমিকার পরিবার থেকে এখনো থানায় কোনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
টিএস