ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

যমুনা সার কারখানায় আ.লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলি, আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

যমুনা সার কারখানায় আ.লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলি, আহত ১৫

ঘটনা স্থলে পুলিশ মোতায়ন

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের সময় এক পক্ষের গুলিবর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানার গেটপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

এতে তিন পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ নিয়ে কারাখানা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, যমুনা সার কারখানায় পরিবহন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও প্রতিপক্ষ পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চরম বিরোধের কারণে কারখানা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা সংঘবদ্ধ হয়। 

একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় একপক্ষের বিরুদ্ধে গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠে। সংঘষের সময় ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের এসআই আব্দুল মালেক (৪০), কনস্টেবল নজরুল ইসলাম (৫৭) ও মাজহারুল ইসলাম (৩২) আহত হন। এছাড়াও ফজলুল হক বাবু (৩২),  রোকন (৩০) রিপন (২৮), খালেদা (৬০), রাবেয়া (১৮), হাফিজুর (৩৫), বাচ্চু (৩৫), মোস্তাক (৪৫), মোতালেবসহ (২৫) উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় যমুনা সারকারখানা এলাকায় বিবদমান দুটি পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক অভিযোগ করেন, স্থানীয় খুটামারা বিলে গ্রামবাসী মাছ চাষ করেছে। রফিকের লোকজন বিলের মাছ জোরপূর্বক মারতে যায়। তাদের বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে রফিকের পক্ষ থেকে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

অপরদিকে রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারণ ছাড়াই ইউপি চেয়ারম্যান আশারাফুলের নেতৃত্বে আমার বাণিজ্যিক কার্যালয় ও দুইজন কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় আমার কার্যালয়ের ম্যানেজার শাহ আলমকে মারধর করে নগদ টাকা লুটতরাজ করা হয়। 

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জনকণ্ঠকে বলেন, সারকারখানায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই পক্ষে সংঘর্ষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×