ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জমিজমা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

জমিজমা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৪

সংঘর্ষ আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

মাদারীপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে চার জন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তারা হলেন মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা এলাকার হাবিব ফকিরের ছেলে রবিউল ফকির (৩৭) আবদুল লতিফ ফকিরের ছেলে হোসেন ফকির (৩৫), শাহজাহান শিকদারের ছেলে সাইফুল শিকদার (৩৮), করিম শিকদারের ছেলে বাদল (৪০)। এর মধ্যে বাদল আর সাইফুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নতি চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে জমির সীমানা বেশি কাটা নিয়ে বাদল শিকদারের সঙ্গে রবিউল ফকিরের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় স্থানীয়রা দু’পক্ষকে বসিয়ে সালিশ মিমাংসা করে দেয়। এ ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার সকালে জমিতে কাজ করতে যান রবিউল ফকির। জমিতে বীজ রোপণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ফের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে। 

এব্যাপারে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল চিকিৎসক জায়িন আরেফিন বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাদের সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ভর্তি হওয়া চার জনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে আহত রবিউল ফকির বলেন, ‘বাদল শিকদারের লোকজন সকালে আমার জমির সীমানা থেকেও বাড়তি জমি কেটে নেয়। পরে বীজ রোপণ শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করলে বাদল আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

আর অভিযোগের বিষয় বাদল শিকদার বলেন, ‘আমি আমার জমি সীমানা কেটেছি। বীজও রোপণ করি। জমি আমার তাই আমি আমার ইচ্ছে মত কাজ করবো। কিন্তু রবিউল অন্যায়ভাবে আমাকে বাধা দেন। হামলা সংঘর্ষের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।’

এব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জমির সীমানা নির্ধারণ ও বীজ রোপণ নিয়ে শিকদার ও ফকির বংশের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল থেকে আমরা ৪জনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

 
 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×