ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

সেতুর বেহাল দশা,খাল ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ

সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ, বরিশাল 

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

সেতুর বেহাল দশা,খাল ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ

সেতু

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বালা বাড়ির খালটি বিষখালী নদীর সাথে সংযোগ হয়েছে। বালা বাড়ির খালের সংযোগ মুখে নির্মিত আয়রন সেতুটি প্রায় এক যুগ আগে ভেঙ্গে গিয়ে সেতু পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। 

ইউনিয়নের কাফিলা বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলা নলছিটির মোল্লাট হাট সড়ক ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর বাজারের সাথে স্থলপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বেড়ি বাঁধ। বেড়ি বাঁধের বালা বাড়ির খালের মুখের সেতুটি ভেঙ্গে গেলে স্থানীয় লোকজন খাল ভরাট করে বাঁধ নির্মাণ করেন। খালের মুখে বাঁধ নির্মাণ করে বিকল্প রাস্তা তৈরি করায় ইউনিয়নের রাম নগর, কাফিলা, বোতরা তিন গ্রামের কৃষকদের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। 

সেতুটি ভেঙ্গে এক যুগ পার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসেনি। স্থানীয় কৃষকেরা জনকণ্ঠকে জানান, প্রায় এক যুগ আগে সেতুটি ভেঙ্গে গেলে বিকল্প সড়ক হিসেবে খালের মুখে স্থানীয়রা বাঁধ নির্মাণ করে। ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র বালা বাড়ির খালে বাঁধ দেয়ায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুকনো মৌসুমে পানি সংকট দেখা দেয়। এলাকায় হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। রবিশস্য ফলানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। চরম হুমকির মুখে পড়েছে কৃষি ব্যবস্থা। 

কৃষকদের অনেকেই নিরুপায় হয়ে কৃষি কাজ ছেড়ে দিয়েছে। কৃষি মাঠে সোনালি ফসল এই এলাকায় হচ্ছে না। খালটি এখন পলিমাটি জমে মরা খালে পরিণত হয়েছে। দ্রুত বাঁধ অপসারণ করে বেড়ি বাঁধে সেতুটি নির্মাণ ও খালটি খননের দাবি জানান তারা। নিয়ামতি ইউপি চেয়ারম্যান, হুমায়ুন কবির জানান, এক বছর পূর্ণ হয়নি আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।  

সরকারের দেয়া উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড প্রত্যন্ত গ্রামে  ইউনিয়নবাসীদের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলস চেষ্টা চালাচ্ছি। কাফিলা ভেরি বাঁধের সেতুটি এক যুগ আগে ভেঙ্গে গেছে। সেখানে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। আমি চেষ্টা চালাচ্ছি সেতুটি নির্মাণ করে যাহাতে বাঁধটি অপসারণ করা যায়। পাশাপাশি তিনি সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষের সহযোগিতাও চেয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, বর্তমানে আয়রন সেতুর স্কিম নেই। কাফিলা বেড়ি বাঁধ পরিদর্শন করে আমরা সেতুটির ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় স্কিম পাঠানো হবে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, উপজেলার শেষ সীমানায় বেড়ি বাঁধের সেতুটি এবং খাল ভরাট করে বাঁধ দেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×