ঘাতক হোসেন আহমেদ
লক্ষ্মীপুর জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাইকে হত্যা করেছে ছোট ভাই হোসেন আহমদ। তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সদর মডেল থানায়। এ মামলায় হোসেনের স্ত্রী জেসমিন বেগমকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি এলাকার দমদমা দমদমা দিঘিরপাড় এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও অভিযুক্ত ঘাতক ছোট ভাই হোসেনকে আটক করে। নিহত তোফায়েল একই এলাকার আজিজ উল্যা দফাদার বাড়ির মমতাজুর রহমানের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে থাকলেও তারা সবাই ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই বাড়িতে থাকতেন। ঘাতক হোসেন তার আপন ছোট ভাই। সে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) জহিরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে এশার নামাজ পড়ে তোফায়েল স্থানীয় একটি দোকানে চা খেতে যান। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় দমদমা দিঘিরপাড়ে হোসেন তার ওপর হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে তাকে কুপিয়ে দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। এতে কিছুক্ষণ পরেই তোফায়েল মারা যান।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রায় তোফায়েল ও হোসেনের সঙ্গে ঝগড়া হতো।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন এ ব্যাপারে বলেন, হত্যার ঘটনায় হোসেনসহ দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সৌপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। নিহত তোফায়েলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআর