মতবিনিময় সভা। ছবি: জনকণ্ঠ
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা)। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষের সমম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহীনুর আলম, বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের সচিব কালাচাঁদ সিংহ, হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ, গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বারবিডার সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডনসহ বারবিডার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খাত থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয়ও হচ্ছে সরকারের। এই মুহুর্তে বন্দর চ্যানেলের গভীরতা বৃদ্ধি করতে পারলে বন্দরে আরও বড় জাহাজ আসতে পারবে।
তার ফলে এক সঙ্গে অনেক বেশি গাড়ি আনতে পারলে পরিবহন ব্যয় কিছুটা হ্রাস পাবে। ড্রেজিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানিকৃত গাড়ি খালাসের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান বারবিডা নেতারা।
বারবিডা সভাপতি মো: হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা এখন আর মোংলা বন্দরে ঘটে না। আমদানিকৃত গাড়ির প্রায় ৮০ শতাংশ গাড়িই এখন মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, আমদানিকৃত গাড়ির শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের দায়িত্ব মোংলা বন্দরের। আপনাদের কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে আমাকে সরাসরি লিখিতবাবে আমাকে জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।
বন্দর প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পরে ২০০৯ সালে ৮ হাজার ৯০০টি গাড়ি আমদানির মাধ্যমে মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে এ বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি বাড়তেই থাকে। বিগত বছরের সকল রেকর্ড ভেঙে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে মোংলা বন্দর দিয়ে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৮০৮টি গাড়ি আমদানি হয়েছে।
এসআর