পদ নিয়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ভাদাই গিরিজা শংকর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ও তিন রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়েছে পুলিশ।
জানা যায়, দীর্ঘ ১২ বছর পর গত ৮ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাহাজান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রথমার্ধের আলোচনা সভা শেষে আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি-সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় সমঝোতা করতে ব্যর্থ হন কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও জানা যায়, দুই গ্রুপকে একত্রিত করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী গ্রুপের মোহাম্মদ আলীকে সভাপতি এবং সিরাজুল হকের গ্রুপের ছাত্রনেতা কমলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতিকে সম্পাদক করার প্রস্তাব করে ও কমিটি ঘোষণা না করেই সম্মেলন স্থগিত করেন। এর প্রায় দেড় মাস পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মতিতে কমিটি ঘোষণা করেন। ওইদিকে আওয়ামী লীগের একটি অংশের কমলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। পরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক হয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের কার্যালয়ে গেলে কমলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ ওমর চিশতি ও বর্তমান আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আদিতমারী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় ৩ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এমএইচ