সারের গোপন গোডাউনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা বাজারে অবৈধভাবে সার মজুত করে চড়াদামে বিক্রি করার সময় হাতেনাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে । এ সময় দুই খুচরা সার ব্যবসায়ী বালুল মিয়া (৩৭) কে ১০ হাজার টাকা ও রবিউল মিয়া (৩৫) কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন।
বুধবার রাত ৮ টায় বড়খাতা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এসময় হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ উপস্থিত ছিল।
জানা গেছে, সার গোপন গোডাউনে লুকিয়ে রেখে জেলার হাতীবান্ধার হাট-বাজারে ইউরিয়া, পটাশসহ নানা ধরণের সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়। এই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক চড়া দামে সার কৃষকদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে আসছে। এমন গোপন খবর ছিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তার কাছে।
এ ধরনের খবরের ভিত্তিতে বড়খাতা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়। এসময় গোপন গোডাউনে অবৈধভাবে সার লুকিয়ে রেখে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির করছিল বড়খাতার বিডিআর বাজারের রবিউল ইসলাম। তাঁকে ৫০ হাজার টাকা ও একই বাজারের খুচরা সার ব্যবসায়ী বাবলা মিয়া চড়া দামের সার বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ১৫০ বস্তা এমপিও সারের অবৈধ মজুদ হতে উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত সার কৃষি কর্মকর্তার নেতৃত্বে সাধারণ কৃষকদের মাঝে খুচরা বিক্রির নির্দেশ দেয়া হয়।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন জানান, তার উপজেলায় কোন হাট-বাজারে কৃষকের কাছে সরকারি মূল্যেও চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির খবর পেলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালাবে। অনৈতিক ভাবে সারের দাম বেশী ও অবৈধ মজুদ পেলে তাৎক্ষণিক জেল জরিমানা করা হবে। এধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে।
টিএস