ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

২৫ বছর পর মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচ  

স্টাফ রিপোর্টর, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ১২:০১, ২০ নভেম্বর ২০২২; আপডেট: ১২:০৬, ২০ নভেম্বর ২০২২

২৫ বছর পর মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচ  

নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা

বাগেরহাটের চিতলমারী ও পাশর্^বর্তি গোপালগঞ্জ জেলার মধ্যদিয়ে বয়ে চলা মধুমতি নদীতে দীর্ঘ ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা। বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের উদ্যোগে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকা বাইচ উপলক্ষে মধুমতির নদীর দু’পাড়ে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। দীর্ঘদিন পর নৌকা বাইচ উপভোগ করতে বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জ জেলার সকল বয়েসী নারী, পুরুষ ও শিশুদের আগমনে নদীর দু’পাড় মিলন মেলায় পরিণত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩টি গ্রুপে মোট ২৭টি নৌকা এ প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়। এছাড়া ৩টি নারীদলও এ প্রযোগীতায় অংশ নেন। 

প্রতিযোগীতায় গ্রুপ-এ থেকে প্রথমস্থান অধিকার করেন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ার কালিপদ তালুকদারের নৌকা, ২য় স্থান অধিকার করেন টুঙ্গিপাড়ার অংশপতি বৈরাগির নৌকা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন মাদারিপুর জেলার অমিত বৈদ্য’র নৌকা। গ্রুপ-বি থেকে প্রথমস্থান অধিকার করেন গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার ভাই ভাই জলপরি নৌকা,  ২য় স্থান অধিকার করেন একই এলাকার জয় মা কালি নৌকা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন একই এলাকার মা দূর্গা নৌকা। এছাড়া গ্রুপ-সি থেকে অংশ নেয়া নারী দলের মধ্যে প্রথম হয়েছেন টুঙ্গিপাড়া, ২য় হয়েছেন ও তৃতীয় হয়েছেন কোটালিপাড়া নারী দল। নৌকা বাইচ শেষে সন্ধ্যায় প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়া প্রতিটি গ্রুপের প্রধান বিজয়ী দলকে ১ লক্ষ টাকা, দ্বিতীয় দলকে ৬০ হাজার টাকা, তৃতীয় অবস্থানকারীকে ৪০ হাজার টাকাসহ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতিযোগীয় অংশগ্রহনকারী প্রতিটি দলকেই ১০, ১৫ ও ২০ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

নৌকা বাইচ

নৌকা বাইচে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। এ সময় সম্মনিত অতিথি হিসাবে নৌকা বাইস উপভোগ করেন, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপির সহধর্মিনী রুপা চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, পুলিশ সুপার কে,এম আরিফুল হক(পিপিএম), এমপি শেখ হেলাল এর একান্ত সহকারী শেখ ফিরোজুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ নষ্ট করে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে লালন করা হয়। আর শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমন করে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে মানবিক উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।


 

টিএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×