প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মর্জিনা বেগম (১৬) নামে এক কিশোরীকে হত্যার ৯ বছর পর স্বামী স্বপন গাজী ও তার স্ত্রী আঁখি আক্তার তমাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।
এছাড়াও ওই তরুণীকে পতিতাবৃত্তি কাজে বাধ্য করার অপরাধে মানবপাচার আইনের মামলায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশে দেয়া হয় তাদের।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় রায়ের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর দাপা ইদ্রাকপুরে রাসেলের টিনসেডের বাসায় রাত তিনটায় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী স্বপন গাজী ভিকটিম মর্জিনাকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে ব্যর্থ হলে তাকে মুখে ও নাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।
এ সময় স্বপন গাজীর স্ত্রী আখি আক্তার তমা এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন। পরে মর্জিনার আত্মীয় স্বজন না থাকায় বাড়িওয়ালা রাসেল ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে দুইজনের বিরুদ্ধে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এসআর