ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

এবার প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমালেন জামালপুরের অর্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ১৪ নভেম্বর ২০২২

এবার প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমালেন জামালপুরের অর্ক

মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক ও তার স্ত্রী সিতি মারিয়া

প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমালেন জামালপুরের যুবক মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান অর্ক। তার বাড়ি জামালপুর জেলা শহরের বানিয়াবাজার এলাকায়। জামালপুরের অর্ক ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে প্রেমিকা সিতি মারিয়াকে বিয়ে করেছেন।  

জানা গেছে, ২৫ বছর বয়সী অর্ক জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকার মো. মিজানুর রহমানের ছেলে। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে চাকরি করছেন তিনি।

অর্ক জানান, ২০১৯ সালে মুসলিমাডটকম নামে একটি সাইটের মাধ্যমে সিতি মারিয়ার (২৩) সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ইন্দোনেশিয়ার বগর জেলার সেলতুন সিটির জাবা প্রদেশে বাস করেন সিতি মারিয়া। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সিতি মারিয়া। তার বাবা ওমর একজন ব্যবসায়ী। লেখাপড়া শেষে সিতি মারিয়া সেখানকার তাসকিয়া গ্লোবাল ইসলামিক বিদ্যালয়ে কুরআন ও হাদিস বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন।

পরিচয় হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথা বলতে বলতে এক সময় গভীর প্রেম হয় দু’জনের। এরপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। গত ১৮ অক্টোবর সাড়ে প্রেমিকার দেশে উড়ে যান অর্ক। পরে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ দম্পতির ছবিও পোস্ট করেন।

মোবাইল ফোনে তানজিলুর রহমান অর্ক জানান, অনেক আগেই ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল তার। করোনার কারণে অনেক দিন ভিসা বন্ধ ছিল। সেখানে গিয়েও অনেক কাগজপত্র ঠিক করতে হয়েছে। এজন্য বিয়ে করতে দেরি হয়েছে।

অর্ক আরও বলেন, সিতি মারিয়াকে বাংলাদেশে নিতে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অনেক কাগজপত্র লাগবে। কাগজগুলো প্রস্তুত করতে আরও ছয় মাসের মতো সময় লাগবে।  
অর্ক দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আমরা যেন সুখী হতে পারি সে দোয়া করবেন। আমি সিতির সব সিদ্ধান্তে একমত। সিতি চাইলে বাংলাদেশেওথাকতে পারে, ইন্দোনেশিয়ায়ও থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে।

মোবাইল ফোনে সিতি মারিয়া জানান, আগে বাংলাদেশের ছেলেদের সম্পর্কে তাদের খারাপ ধারণা ছিল। কিন্তু এখন অর্কের সঙ্গে মিশে সেই ধারণা বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত মিশুক ও সহজ সরল। কাগজপত্র ঠিক হলেই বাংলাদেশে আসবেন তিনি।  

জামালপুরের মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, বেশিরভাগ সময় শোনা যায়, প্রেমের টানে বিদেশ থেকে তরুণ-তরুণী আসেন বাংলাদেশে। কিন্তু এবার প্রেমের টানে জামালপুরের তরুণ ইন্দোনেশিয়ায় গেছেন।  

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×