ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বরিশালে ছোট মসজিদের সন্ধান, সংরক্ষণের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:২০, ১১ নভেম্বর ২০২২

বরিশালে ছোট মসজিদের সন্ধান, সংরক্ষণের দাবি

মুন্সি বাড়ি মসজিদ নামে পরিচিত

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নে একটি ছোট মসজিদের সন্ধান মিলেছে। তবে এটির কোনো নাম নেই। স্থানীয়ভাবে বড় রঘুনাথপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ি মসজিদ নামে পরিচিত। মাসজিদটি পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফকির পাড়া কাটাখালী খালের পাড়ে অবস্থিত। রঘুনাথপুর গ্রামের ফকির পাড়ার হাজী মো. আরশাফ আলী মুন্সি প্রায় দুই যুগ আগে নিজ অর্থায়নে তার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। 

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার থেকে বড় রঘুনাথপুর সড়কের কোল ঘেসে বয়ে যাওয়া কাটাখালী খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হলেই খালের পাশে মসজিদটি। পিচ ঢালাই রাস্তার উপর দাড়ালে দেখা যায় গাছপালা ঘেরা ঘন জঙ্গলের বাঁশ বাগানের নিচে লাল রংয়ের ছোট মসজিদটি। মসজিদটি এতই ছোট যে, এখানে একজন ইমাম ও চারজন মুসল্লিসহ মোট পাঁচ জন নামাজ পড়ার মতো জায়গা রয়েছে। যখন মসজিদ নির্মাণ হয় তখন অত্র এলাকায় লোক বসতি খুবই কম ছিল। এখনও বাঁশের সাঁকো পাড় হয়ে মাসজিদে যেতে হয়। তখনকার সময় একসাথে মসজিদে বেশি মুসল্লি হতো না। কাছাকাছি পাড়া মহল্লায় এখনও তেমন বড় কোনো মসজিদ নির্মাণ হয়নি। তাই মসজিদটি সেই অনুসারে নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে মসজিদটিতে এখনও প্রতিদিন নামাজ পড়া হয়।

মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে এখনও রয়েছেন বৃদ্ধা হাজী মো. আরশাফ আলী মুন্সি। তিনি জানান, মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করার স্বপ্ন ছিল দীর্ঘদিনের। হয়তো মৃত্যুর আগে সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে। আর্থিক সংকট ও শারীরিক অসুস্থতায় মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কখন জানি নিজেই পরপারে চলে যাই। এখন পর্যন্ত এলাকার বিত্তশালীরা কেউ এগিয়ে আসেনি মসজিদটি বড় করে নির্মান করতে। যদি কেউ এগিয়ে আসেন মসজিদটি বড় করে নির্মাণ করতে, যতটুকু জমির প্রয়োজন হয় আমিই দিতাম। 

মসজিদটির আকৃতি প্রায় বর্গাকার (দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৮-১০ ফুট প্রায়)। চারকোণে মসজিদটি ইট বালুর তৈরি দেয়াল, উপরে এক চালা টিনের ছাউনি। ভেতরে জায়গায় জায়গায় ক্ষয়, দেয়ালে ফাটল। উঁচ্চতা, মাটি থেকে প্রায় ১০ ফুট। মসজিদটির একটি দরজা ও দুটি জানালা আছে। দরজার উঁচ্চতা পাঁচ ফুট এবং প্রস্থে তিন ফুট। বাহিরের দেয়ালে লাল রং। ভেতরে একটি বৈদ্যুতিক লাইট, আছে একটি কোরআন শরীফ। 

বরিশাল জেলা প্রশাসন তথা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যদি মসজিদটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে সংরক্ষণ করে তবে ছোট এই মসজিদটি এলাকার মুসল্লিদের জন্য স্থায়ী একটি নামাজের স্থান হতো। হারিয়ে যেত না একটি মসজিদ। মসজিদটি লোক চোখের অন্তরালে রয়েছে সেটি জনসম্মুখে আসতে পারে এবং এলাকার মুসল্লিদের নামাজ পড়ার একটি স্থায়ী স্থান হতে পারে বলে স্থানীয়রা মতামত জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×