সবজি বাগান
নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর তেমন সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল না সবজি চাষিরা। করোনা, অসময়ে বন্যা, বৃষ্টি বাদল, নদী ভাঙন, প্রচণ্ড তাপদাহ, সার, বীজ ও কীটনাশকের চড়াদাম সবজি চাষিদের বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে ফিরে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে সবজি চাষিরা, লাউ, সিম, বেগুন, করলা, মুলা, পিয়াঁজ, মরিচ, কফি, ধনে পাতাসহ শীতকালিন শাকসবজি পুরোদমে চাষাবাদ শুরু করেছে।
বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকা, সিম ১০০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ছোট বড় ৭০ হতে ১০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদ হয়েছে। এর বেশিভাগ চরাঞ্চলে। মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত সবজি চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।
উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পাঁচগাছি শান্তিরাম ক্ষত্রিয়পাড়া গ্রামের সবজি চাষি আলম মিয়া জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে আগাম বেগুন চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে বেগুন বাজারজাত করতে শুরু করেছে।
এক বিঘা জমিতে সব মিলে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন, প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে প্রায় ২ হতে ৩ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করতে পারবেন।
শান্তিরাম ব্লকের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, আলম মিয়া একজন সফল সবজি চাষি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মৌসুমি সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। আগাম বেগুন চাষ করে তিনি ওই এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন। তার সবজি চাষাবাদ দেখে এখন ওই গ্রামে অনেকে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, কৃষকরা এখন ধান, গম ভুট্টার পাশাপাশি বেশি বেশি সবজি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের কৃষকরা উৎপাদিত সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এখন এলাকার বাইরে রপ্তানি করছে।
এসআর