প্রতীকী ছবি
কক্সবাজারেরৎমহেশখালীতে চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন হত্যা মামলায় সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম ও তার ভাই উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলবী জহির উদ্দীন, সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলমসহ আটজনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ সময় মহেশখালীর সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলবী জহির উদ্দীন অপর ভাই মো. নাগু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও আবু তাহেরসহ আটজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সুলতানুল আলম চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার মামলাটির সর্বশেষ যুক্তিতর্কের দিন ছিল। যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ২৪ নবেম্বর মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খায়রুল আমিন হত্যা মামলার রায়ের দিন ধার্য করা হয়। মামলার শীর্ষ আট আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটায় গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও তরুণ রাজনীতিক খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটার হামজা মিয়া সিকদারের পুত্র। ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ওই বছরের ২২ নবেম্বর। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে ৩২ বছর পর মামলা রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এসআর