সোনালী ধান
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে সোনালী ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলা জুড়ে ধান ক্ষেত গুলো যেন সোনালি রঙে সাজতে শুরু করেছে।
চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে কৃষকদের মনে আনন্দ বিরাজ করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এবার প্রায় ২৭ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে উফসী বিভিন্ন জাতের আমনের চাষ হয়েছে। এধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান-৭১, ব্রিধান-৭২, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৭, ব্রিধান,৭৬ বিনা-৭ ও ১৬ জাতের ধান।
সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ১৪টি ইউনিয়নে ধান ক্ষেতে গাছের শীষ ধানে নুইয়ে পড়ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। অপরদিকে কিছু কিছু নিচু জমির ধানের ফলন একটু দেরি করে শুরু হলেও ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
কৃষকরা জানান, এই ধানের রোগবালাই খুব কম। ফলন তাই এই বছরট আশার চেয়ে বেশি হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের দিকে আমন ধান কাটা হয়। এবার অনেক মাঠেই এক মাস আগেই এই ধান পাকতে শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কৃষক রফিক হাওলাদার জানান, আমন মৌসুমের প্রথমদিকে খরা থাকলেও পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুকূলে আসে। বন্যায় দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। তবে ২/১ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারনে আমন ধান চাষে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মুছা ইবনে সাঈদ বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। চলতি আমন মৌসুমে ১৬০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাসে ১ বিঘা হারে ৫ কেজি উফশী বীজ ধান ও কৃষক প্রতি ১০/২০ কেজি বিনামূল্যের সার বিতরণ করেছি। নতুন জাতগুলোর প্রায় শতাধিক প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে।
এসআর