"ডিবির হাওর" শাপলার বিল
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সহজে যে কারও মন কেড়ে নেয়।আর সেখানে যদি সিলেটের কথা ভাবা হয় তবে তো আর কথাই নেই। খুব সহজে চোখে ভেসে ওঠে জাফলং, বিছনাকান্দি আর সাদাপাতরের অপরূপ দৃশ্য। নতুন রূপে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার "ডিবির হাওর" শাপলার বিল।বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে ডিবির হাওর এখন অন্যতম একটি পর্যটনকেন্দ্র।
ইতিহাস, ঐতিহ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা জৈন্তারাজ্যের রাজা রাম সিংহের স্মৃতিবিজড়িত ডিবির হাওর, ইয়াম, হরফকাটা ও কেন্দ্রী বিলসহ রয়েছে চারটি বিল। বিলগুলোকে কেন্দ্র করেই নাম করা হয়েছে ডিবির হাওর। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এখন ‘শাপলার রাজ্য’ নামে পরিচিত এই ডিবির হাওর।শরতের শেষের ভাগ থেকে শীতের শুরু পর্যন্ত লাল শাপলা তার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য ছড়িয়ে সবাইকে আকর্ষন করে। শুধু তাই নয় নৌকা দিয়ে শাপলার বিল ঘোরার পাশাপাশি চারিদিকে ঘেরা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য সহজে কেড়ে নেবে যে কারও মন।
সিলেটের ট্যুরিজম উদ্যোক্তা ও টুরিস্ট গ্রুপদের মধ্যে অন্যতম ট্রাভেলার্স অব সিলেট এর ফাউন্ডার শফি মোহাম্মদ বলেন,শীতের সিজনে ডিবির হাওর ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অন্যতম একটি স্পট | কারন শীতের সকালে ফুলে ফুলে লাল হয়ে যায় ডিবির হাওর শাপলার বিল।কুয়াশার চাদরে মোড়া লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত সময় এখনই।
শাপলার রূপে মুগ্ধ হয়ে ঘুরতে আসা আলী জামিল বলেন যেকোন পর্যটকদের জন্য ডিবির হাওর শাপলা বিল আকর্ষণীয় একটি স্থান।এখানে ঘুরতে না আসলে বুঝতেই পারতাম না যে অত্যন্ত সুন্দর একটি স্থান সিলেটের ডিবির হাওর তথা শাপলার বিল।তিনি বলেন যে কোন পর্যটকমহল এখানে আসলে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। ভোরে নৌকায় ভেসে ভেসে দেখতে অপরূপ লাগে লাল শাপলা ডিবির হাওর। দূরের পাহাড়, সোনালি আকাশ আর পাখির কিচির মিচির ডাক, এ যেন পৃথিবীর অপূর্ব এক টুকরো স্বর্গ রাজ্য।
শামীমা হীরা বলেন শাপলার অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করার মত,আমরা আবার ঘুরতে আসবো।তবে কারও দ্বারা যেনও এ সৌন্দর্য্য নষ্ট না হয় আপনাদের লক্ষ রাখতে হবে।
সিলেট শহর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে এই এই শাপলার রাজ্য।সিলেট শহর থেকে তামাবিল রোড দিয়ে বাস, সিএনজি অথবা লেগুনা রিজার্ভ করে যেতে পারেন শাপলার বিল।লকাল বাসে করে গেলে জৈন্তাপুর বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে হেঁটে অথবা একটি টমটম ও নিয়ে নিতে পারেন বিল পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে বাস ভাড়া পরবে মাত্র ৬০-৭০ টাকা টাকা এবং রিজার্ভে সিএনজি ভাড়া ১৫০০-১৮০০ টাকা এর মধ্যে সেরে ফেলতে পারবেন। শাপলার বিল ঘুরে দেখার জন্য নৌকা ভাড়া রিজার্ভ পরবে ৪০০-৫০০ টাকা।
টিএস