
অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যমুনা নদীতে মাছ শিকার করায় চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
যার আনুমানিক মূল্য ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া অভিযানে জেলেদের থেকে ১৩৬ কেজি (প্রায় সাড়ে ৩ মণ) মা ইলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, জেলায় যমুনা নদী বেষ্টিত ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও গোপালপুরসহ অন্যান্য উপজেলায় মা ইলিশ বন্ধে প্রশাসন, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ উদ্যোগে অভিযান, মোবাইল কোর্ট, জরিমানা, ঘাটপাড় ও বাজার পরিদর্শন করা হয়।
এই তিন সপ্তাহে মোবাইল কোর্ট ২০টি, অভিযান ১০১টি, পরিদর্শন এলাকা স্থান ৮৩টি, মাছঘাট ৭১ টি ও বাজার ৬৮৪টি। মোবাইল কোর্টে মামলা হয়েছে ৪২ টি, জরিমানা আদায় ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা এবং ৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলার ১২টি উপজেলায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৯ হাজার, ইলিশ ধরা জেলের সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৩৩২ জন।
প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৭৮১ জেলেকে দেওয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা ৪৪.৫২৫ মেট্রিক টন চাল। গত (২৮ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই জেলেরা মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। জেলেরা যেন ডাকাত ও চাঁদা বাজির কবলে না পড়ে সে বিষয়টি নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করা হবে।
জানা যায়, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকার রোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত (৭ অক্টোবর) থেকে (২৮ অক্টোবর) রাত ১২ টা পর্যন্ত টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
এমএস