সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা
পাবনায় ২৪ বছর পর কৃষক আব্দুস সালাম হত্যা মামলায় ২১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ এর আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান মুন্নী এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা আসামিরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার ভাদুরীডাঙ্গী গ্রামের সোবাহান মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা, আব্দুল বাছেদ শেখের ছেলে মিনহাজ, শাকের মোল্লার তিন ছেলে নবী শেখ, সুলতান মাহমুদ ও মোক্তার মোল্লা, মৃত ছোবা শেখের ছেলে বাছেদ শেখ, ইনাই খাঁর ছেলে আইয়ুব খাঁ, আমির মোল্লার ছেলে আসলাম, গফুর মোল্লার ছেলে লতিফ মোল্লা, রস্তম মোল্লার ছেলে ছোবাই মোল্লা, বাহাই প্রামানিকের ছেলে কালাম, আকুল মোল্লার ছেলে মহির মোল্লা, হাচেন মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী মোল্লা ও রেজাউল মোল্লা, গফুর মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা, সুজানগর উপজেলার চর ভবানীপুর গ্রামের করিম মোল্লার দুই ছেলে মোকছেদ মোল্লা ও বারেক মোল্লা, মৃত বশির মোল্লার ছেলে করিম মোল্লা, ভবানীপুর কাচারী মাঠ পাড়ার আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে খোকন, মানিকদিয়ার গ্রামের হবিবরের ছেলে রফিক এবং সদর উপজেলার কোলচুরি গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে বাবলু উদ্দিন। এদের মধ্যে বারেক, মিনহাজ, বাবলু, বাছেদ শেখ, লতিফ মোল্লা ও ছোবাই মোল্লা পলাতক রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৭ নভেম্বর পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় পূর্বশত্রুতার জেরে আসামিরা তাকে পেছন থেকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ সালাম মাটিতে পড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ২৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সালামের ভাই আব্দুল জব্বার। পুলিশ ১৯৯৯ সালের ১ আগস্ট ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলা চলাকালিন ৩ জন আসামির মৃত্যু হয়। দীর্ঘ স্বাক্ষী ও শুনানি শেষে সোমবার ২১ জন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সনৎ কুমার সরকার এবং রাষ্ট্রপক্ষ পক্ষে শুনানি করেন সরকারি কৌশুলি (অতিরিক্ত পিপি) অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।
এসআর