আগুর জাতের পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে
সিত্রাং নিম্নচাপের প্রভাবে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় জমিতে শুকাতে দেয়া কেটে রাখা ধান ভিজে যাওয়ার চিন্তায় কৃষিক মহা বিপাকে পড়েছে। বাম্পার ধান ফলনের পড়েও মুখের হাসি ফিকে হয়েছে।
নিম্ন চাপের প্রভাবে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় উঠতি পাঁকা ধান নিয়ে কৃষক পড়েছে মহা বিপাকে। আমন ধান সাধারণত শুস্কমৌসুমে কৃষক কেটে জমিতে খড়সহ শুকাতে দেয়। ৭/১০ দিন জমিতে ধান শুকিয়ে গেলে আঁটি বেঁধে তুলে এনে মাড়াই করে। হঠাৎ নিম্নচাপের প্রভাবে লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সাথে ধমকা হাওয়া বইছে। এতে করে জমিতে শুকাতে দেওয়া খড়সহ ধান ভিঁজে যায়। ভিঁজা ধান জমিতে পানি জমাট বেঁধে নষ্ট হওয়ার ভয়ে কৃষিক পরিবার গুলো দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তাই তো কৃষক পরিবার গুলো স্ত্রী, সন্তান নিয়ে শুকাতে দেয়া ধান আঁটি বেঁধে তুলে পালা করে রাখতে দেখা গেছে। উত্তরাঞ্চলে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ পুরো দমে শুরু হয়ে এখনো কমপক্ষে ১৫/২০ দিন সময় লাগবে। তবে আগুর জাতের ধানে পাকায় কাটতে শুরু হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবছর প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আগুর জাতে ধান চাষ হয়েছে। এখান হতে প্রায় ২৯ হাজার মেঃটন চাল উৎপাদন হবে। জেলায় ৮৬ হাজর ৫৮৫ হেক্টও জমিতে এবছর রোপা আমন জাতের ধান চাষ করেছে। কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে কৃষক প্রায় ২৫ লাখ ১০ হাজার ৯৬ মেঃ টন আমন চাল উৎপাদন করবে। নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া উঠতি ধান ও কাঁচা দুধ শীষের ধানের গাছ মাটিতে গোছা ভেঙ্গে পড়ে গেছে। এতে কিছুটা ধানের উৎপাদন হ্রাস পাবে। যেসব ধানে শীষ বের হয়েছে সে সব ধানের ক্ষেত্রে শীষে পরাগায়ন হতে সামান্য সমাস্যা হবে। বৃষ্টির কারণে ক্ষেতের ধান ভিঁজে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে কৃষকের মুখের হাসি ফিকে হয়ে আসছে। যদিও এবছর জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফল হয়েছে। প্রাকৃতি দুর্যাগ ও রোগবালাই কম ছিল।
টিএস