মিয়ানমার বাহিনীর গোলার ভয়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা
বাংলাদেশের ভূখন্ডে আবারও মিয়ানমারের মর্টার শেল এসে পড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ির দৌছড়ি সীমান্তের ওপারের ভূখন্ড থেকে মর্টারশেল আর গুলির আওয়াজে এপারের আতঙ্কিত সীমান্তবাসী। ফলে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
জানা যায়, আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দৌছড়ি বাহিরমাঠ নিকটবর্ত্তী ৪৯/৫০ নং সীমান্ত পিলারের ঠিক ওপারের মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি ও সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী অরাকান আর্মির সঙ্গে প্রচন্ড গোলাগুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে। এই মর্টারশেল এসে পড়েছে এদেশের ভূখন্ডে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দৌছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইমরান জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১২টায় হঠাৎ দৌছড়ির বাহিরমাঠ এর ৭-৮ নং ওয়ার্ডের নিকটবর্তী ৪৯/৫০ সীমান্ত পিলারের ঠিক কাছাকাছি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সঙ্গে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রচন্ড গোলাগুলি ও মর্টারশেলের বিকট শব্দে এপারের সীমান্তের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ভয়ে অনেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তবে সংঘটিত গোলাগুলিতে এপারের ভূখন্ডে দুইটি ভারি অস্ত্রের গুলি আর দুইটি মর্টারের শেল এসে পড়েছে বলে সীমান্তে বসবাসরত লোকজন জানিয়েছেন।
এদিকে, সীমান্তে বসবাসরত ২০০ পরিবারকে নিরাপদে আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা নিরাপদ স্থানে এসে পড়েছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সীমান্ত বসবাসরত অনেকে জানান, সকালে ধান ক্ষেতে কাজ করার সময় হঠাৎ মিয়ানমারে ভূখন্ডে প্রচন্ড গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পায়। তখন গোলাগুলির আওয়াজ শুনে ধান ক্ষেত থেকে সরে আসার পর দুইটি মর্টারশেল এসে পড়ে এদেশের ভূখন্ডে। মিয়ানমার ভূখন্ডে গুলাগুলিতে দুইটি ভারি অস্ত্রের গুলি বাংলাদেশের লেমুছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের প্রায় তিনশত গজ দূরত্বে এসে পড়েছে বলে জানা গেছে।
এমএইচ