ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে বিশ্বে পঞ্চম বাংলাদেশ: পলক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ২০ অক্টোবর ২০২২

প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে বিশ্বে পঞ্চম বাংলাদেশ: পলক

ফ্রিলান্সার তৃষ্ণা দিও’র সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও করোনা প্রতিরোধে সারা পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম সফল রাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ ছিলো অন্ধকার, পিছিয়ে পড়া ও দরিদ্র। আর ১৩ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ এখন শিক্ষার আলোয় আলোকিত এবং প্রযুক্তিতে উন্নত। এক্ষেত্রে আমরা অনেক ধাপ এগিয়ে এসেছি। 

যদি আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়ন চলমান রাখতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। 

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি এলাকার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ফ্রিল্যান্সার তৃষ্ণা দিও’র সেন্টার পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, মানুষ সারাজীবন এমপি, মন্ত্রী থাকে না। যদি কখনো মন্ত্রীত্ব না থাকে, সংসদ সদস্য না থাকি, তখন অবসরে ফ্রিল্যান্সার হবো। শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস করেছে দেশ বিরোধী চক্রান্তকারীরা। দেশদ্রোহী রাজাকারদের থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য শেখ হাসিনা সরকার ধৈর্যের সঙ্গে সন্ত্রাস মোকাবেলা করেছে। 

বর্তমানে যে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছে, এই সংকট মোকাবেলার জন্যও আওয়ামী লীগ সরকারকেই প্রয়োজন। তাই শেখ হাসিনার বিকল্প চিন্তা কেউ করে না। আওয়ামী লীগ সরকার ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে সব কিছু মোকাবেলা করছে।

প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের মহাপরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, ইডিসির প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আজিজুল ইসলামসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে বুধবার রাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী শেরপুরের সার্কিট হাউজে পৌঁছলে স্থানীয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি জানান, সারাদেশে ১৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার নির্মাণ কাজের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সুখবর হচ্ছে এর মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলাতেও ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৫ একর জায়গায় একটি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজের টেন্ডারও হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আশা করছি, ২০২৪ সালের মধ্যে এটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে দৃশ্যমান হবে এবং এরপর থেকেই এ জেলার তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের একটা ঠিকানা হিসেবে সারা বাংলাদেশে পরিচিতি পাবে।

ওই সময় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।


 

এসআর

×