আগুনে পুড়ে নিহত কিশোরী আনিকা সুলতানা ও তার মা জোসনা আক্তার
লক্ষ্মীপুরে দূর্বৃত্তের দেয়া আগুনে পুড়ে নিহত অন্তঃস্বত্তা কিশোরী আনিকা সুলতানা পর এবার মারা গেছে তার মা জোসনা আক্তার (৪০)। আগুনে পুড়ে বর্তমানে কাতরাচ্ছে ছোট ভাই রোকন মাহমুদ (৯)। আগুনে পুড়ে যাবার ৮দিনের মাথায় জোসনা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে মারা যান।
বুধবার রাতে ঢাকা থেকে লাশটি গ্রামের বাড়ী সদর উপজেলার পূর্ব মাগুরী নিয়ে আসা হয়। পরে বৃহস্পতিবার (আজ) সকালে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে জোসনার লাশ দাফন করা হয়।
নিহত আনিকা স্থানীয় জোড় বাড়ির প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের মেয়ে, প্রতিবেশী রতনের স্ত্রী ও গোপালপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর দিবাগত গভীর রাতে হঠাৎ আনোয়ারের বসত ঘরে (টিনসেড) অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘরের ভিতরে আনিকা, তার মা ও ছোট ভাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। মূহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শরীরে আংশিক দগ্ধ অবস্থায় মা ও তার শিশু ছেলে বের হলেও আনিকা ঘুমন্ত অবস্থায় পূর্ণ শরীরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এ সময় প্রতিবেশী ও স্বজনদের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন আকন্দ, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ ও চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘরের পাশে বাগান থেকে পেট্রোলের খালি বোতল, জুতা ও একটি শপিং ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। জুতাটি আনিকার স্বামী রতনের বলে পুলিশের রতন স্বীকার করেছে। পুড়ে যাওয়া আহত মা ও ছেলেখে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করার পর এদিন মা জোসনা মারা যান।
এদিকে এ ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত উল্লেখ করে দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত সংখ্যক লোককে আসামী করে মামলা হয়েছে। পুলিশ নিহত অন্তঃস্বত্ত্বা আনিকার স্বামী রতনসহ দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
টিএস