ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ 

সিঁড়ি দিয়ে ওঠা সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু

সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ১৮ অক্টোবর ২০২২

সিঁড়ি দিয়ে ওঠা সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু

সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু

বরিশালের বাকেরগঞ্জে সেতুর উপরে উঠতে হলে তৈরি সিঁড়ি বেয়ে জনসাধারণের যাতায়াত করতে হতো। বাকেরগঞ্জ নিয়মিত নতুন বাজার রামনগর ভারানি খালের উপর ২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি আয়রন সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি। এলজিইডি'র অর্থায়নে এম, এস, রুপালী নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সেতুটি নির্মাণ করেন। 

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কোনো কাজে আসেনি। কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারতো না ওই সেতুতে। সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি কর্তৃপক্ষ। 

সেতু পার হতে হলে সিঁড়ি বেয়ে মানুষ চলাচল করে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি বাকেরগঞ্জ উপজেলার দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সংবাদদাতা সেতুর চিত্র ও জনগণের ভোগান্তি নিয়ে গত ১২ এপ্রিল সংবাদ প্রকাশ করেন। স্থানীয় পত্রিকা ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণভাবে ছাপানো হলে ব্যাপক আলোচনায় আসে সংযোগ সড়ক বিহীন সেতুটি। সমালোচনার মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ। 

গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সেতুর দক্ষিণ পাশে সেতুতে উঠতে যে সিঁড়ি ও একটি গাইড ওয়াল ভেঙে ফেলে কর্তৃপক্ষ। ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে সিঁড়ি ভাঙার কাজ শেষ করেন। সেতুর সিঁড়ি ভাঙার পরে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। সমালোচনার ঝড় ওঠে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। 

সেতুটির দক্ষিণপাড়ে বাকেরগঞ্জ থেকে নিয়মিত বরগুনার বেতাগী উপজেলার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং উত্তরপাড়ে রামনগর সড়ক। উত্তরপাড়ের সড়কটি রামনগর হয়ে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লার হাটের গিয়ে মিলিত হয়েছে। 

রামনগর, কাফিলা, মোল্লার হাট, তালতলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ এ সেতু দিয়ে নিয়মিত বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে মহেশপুর বাজার হয়ে যাতায়াত করতে হয়।

ব্যাপক সমালোচনায় পরে সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ সংযোগ সড়ক কাজ তড়িঘড়ি করে শুরু করেন। দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেতুর সংযোগ সড়ক কাজ।

এ বিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মস্তফা কামাল হাওলাদার জানান, এই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সংবাদ প্রকাশ না হলে কোনদিনই এই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ হতো না। সরকারের ৬০ লাখ টাকা কোন কাজে আসতো না। এই সেতুর সংযোগ সড়কটি নির্মাণ হলেই হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ নিরসন হবে। চালু হবে যানবাহন, সুযোগ বাড়বে কর্মসংস্থানের।
 

এসআর 

সম্পর্কিত বিষয়:

×