রহিমা বেগম
অন্তর্ধানের প্রায় এক মাস পর অক্ষত অবস্থায় ফরিদপুরের বোয়ালমারি থেকে উদ্ধার হওয়া খুলনার আলোচিত গৃহবধূ রহিমা বেগম (৫৫) আবারো নিখোঁজ হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদি।
তবে কোথায়, কোন স্থান থেকে রহিমা বেগম পুনরায় অন্তর্ধানে গেছেন সেই বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর ২৫ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে তার মেয়ে আদুরি খাতুনের জিম্মায় দেয়। তারাই ভালো বলতে পারবে তাদের মা কোথায়?
তিনি জানান, সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রহিমা ছেলে মিরাজ আল সাদি মায়ের বারংবার অন্তর্ধান ও নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করায় মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে জবাববন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়। সাদি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলেনও জানা পুলিশ সুপার।
রহিমা বেগমের ছেলে মিরাজ আল সাদি জানান, আমার মা আবার নিখোঁজ হয়েছে বলে আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রত হয়েছি। সে কারণে আমার মা কিংবা বোনদের সঙ্গে ভালো কোন যোগাযোগ নেই। তাই কখন থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন সেটা আমি জানি না।
তবে বিষয়টি নিয়ে এতোটাই বিব্রত যে আমি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছি।
তিনি আরও জানান, আমি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছি। তিনি পিবিআই পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে জানান, তার বোন আদূরী পুলিশ সুপারকে বলেছেন, মাকে আবার পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে গৃহবধূ রহিমা বেগম নিখোঁজ হন। পরদিন রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী খাতুন বাদী হয়ে প্রতিবেশীদের নামে দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ২৭ দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌঁনে ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বোয়ালমারী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।
এসআর