হামলায় আহত জেলেরা
চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মা ইলিশ প্রজনন রক্ষা অভিযানে নৌ পুলিশের ওপর জেলেরা অতর্কিত হামলা করেছে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য ও ৫ জন জেলেসহ মোট ১০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর নৌ থানা থেকে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ এ সময় দুই হাজার ৩৪৭ মিটার কারেন্ট জাল ও একটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করে।
এর আগে রবিবার (১৬ অক্টোবর) দিনগত রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পশ্চিমে লক্ষ্মীরচর নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- চাঁদপুর নৌ থানার উপ-পরির্দক (এসআই) রেদওয়ান, কন্সটেবল আলিম, বখতিয়ার, আলী আকবর ও শরিফুল। এছাড়া আহত জেলেরা হলেন- ইমরান সরকার, শাহজালাল, কামরুল, ওয়াজ কুরুনি, রাজিব। আহতদের সবাইকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচএম ফখরুল, নৌ থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলে ইমরান সরকার জানায়, আমরা মতলব উত্তর উপজেলার চিরারচর ঘাট থেকে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীরচর নামক স্থানে নদীতে মাছ ধরতে যাই। এ সময় হঠাৎ করে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড আমাদেরকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এতে আমাদের সঙ্গে থাকা শাহজালাল, কামরুল, ওয়াস কুরুনি, রাজিব আহত হয়। নৌকাতে থাকা বাকি আল-আমিন, হানিফ, মাসুদ ও জাহিদ নামের অন্য জেলেরা লাফিয়ে পানিতে পড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, আমাদের নৌকার সামনে থাকা অন্য একটি নৌকার লোকজন পুলিশের উপর হামলা করে তারা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে না পেয়ে আমাদের নৌকাকে থামাতে বললে আমরা নৌকা থামাই।
চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে নৌ পুলিশ ও কোষ্টগার্ড যৌথ অভিযান করে। লক্ষ্মীরচর এলাকায় জেলেরা হঠাৎ আমাদের উপর হামলা চালায়। জেলেদের ছোঁড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জেলেকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার সফর মালি এলাকায় জেলেদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য গুরুত্বর আহত হয়। সে ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে নৌ থানা পুলিশ।
এমএইচ
