জব্দকৃত মাছ
ভোলার দৌলতখানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ বিক্রি করার সময় দেড়শ কেজি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করেছেন উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৭ অক্টোকর) নিষেধাজ্ঞার প্রথম প্রহরে পৌর শহরের দক্ষিণ মাথার সেলিম চত্বরের মাছবাজারে অভিযান চালান তারা। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরে জব্দ মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুল হাসনাইন জানান, মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে সকল প্রকারের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ সময় সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রিয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্য করলে কমপক্ষে এক থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে উপজেলার মাছঘাট ও বাজারগুলোতে সচেতনতা সভা, প্রচার-প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ইলিশ শিকারে না যেতে মসজিদের মাইকে এলাউন্স করে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহম্পতিবার রাত সাড়ে সাতটায় পৌর শহরের সেলিম চত্বরের মাছবাজারে গিয়ে মাছ ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসায়ীর শুক্রবার নিষেধাজ্ঞার প্রথম প্রহরে জনবহুলস্থানে এসব অবৈধ মাছ বিক্রি করছিল। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় মেঘনা নদীর ১৫০ কেজি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ জব্দ করি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা সটকে পড়লে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে এসব মাছ রহিমা বেগম এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
এমএইচ