ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে সৈকতে সম্প্রীতির মিলনমেলা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার 

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ৫ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ২০:০০, ৫ অক্টোবর ২০২২

প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে সৈকতে সম্প্রীতির মিলনমেলা

সমুদ্র সৈকত

দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন উৎসব কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বুধবার সমাপ্ত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা। 

বিজয়া দশর্মী উপলক্ষে নেয়া হয়েছিল জেলাব্যাপী নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। বিসর্জন দেয়া হয় কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টে। বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতে লাখো পর্যটক ও ভক্তদের ঢল নেমেছে। 

এছাড়াও জেলার চকরিয়া মাতামুহুরীতে, রামুর বাঁকখালীতে, কুতুবদিয়া সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিজর্সন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিসর্জন অনুষ্ঠানে লাখো পর্যটক ও ভক্তদের সমাগম হয়েছে। বিজয়া দশমী উপলক্ষে সরকারি বন্ধ। 

বৃহস্পতিবার একদিন পর শুক্রবার, শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং রবিবার ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সাঃ) বন্ধ রয়েছে। অনেকে বৃহস্পতিবার ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে একটানা ৫দিন ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে ভ্রমণে চলে এসেছেন।

অনেক ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা জানান, অনলাইনের মাধ্যমে রুম বুকিংও নিশ্চিত করেছেন অনেকে। 

যারা বুকিং করেছে তারা ৪/৫ দিন পর্যন্ত অবকাশে থাকবেন কক্সবাজারে। এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় শারদীয়া দূর্গাপুজা। ১ অক্টোবর ষষ্টী, ২ অক্টোবর সপ্তমী, ৩ অক্টোবর অষ্টমী, ৪ অক্টোবর নবমী ও ৫ অক্টোবর দশমীর মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয়েছে ৫ দিনব্যাপী শারদীয়া উৎসব। জেলায় প্রতিমাপুজার সংখ্যা ছিল ১৪৮টি ও ঘটপুজার সংখ্যা ছিল ১৫৮টি।

জেলা পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ জানান, কক্সবাজারে সদর উপজেলায় ২৮টি, ঈদগাঁও উপজেলায় ২৬টি, কক্সবাজার পৌরসভায় ২১টি, রামু উপজেলায় ৩২টি, চকরিয়া উপজেলায় (চকরিয়া পৌরসভাসহ) ৯২টি, পেকুয়া উপজেলায় ৯টি, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৪৫টি, মহেশখালী উপজেলায় (মহেশখালী পৌরসভাসহ) ৩১টি, উখিয়া উপজেলায় (রোহিঙ্গা ক্যাম্প সহ) ১৬টি, টেকনাফ উপজেলায় ৬টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া। 

শেষ অনুষ্ঠান হয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিমা আনা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ডপ থেকে। জেলা পূজা পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর জানান, এবার জেলায় নির্বিঘ্নে পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুজোর প্রতিটা দিন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ট্যুরিষ্ট পুলিশ প্রশাসন সহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় ভালভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় পুজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।   

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×