ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

সীমান্তে ফের মিয়ানমারের মাইন বিস্ফোরণ, আরও একজনের পা বিচ্ছিন্ন 

নিজস্ব সংবাদদাতা, উখিয়া

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ৫ অক্টোবর ২০২২

সীমান্তে ফের মিয়ানমারের মাইন বিস্ফোরণ, আরও একজনের পা বিচ্ছিন্ন 

আহত রোহিঙ্গা মো. কাদের। ছবি: জনকণ্ঠ।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের মাইন বিস্ফোরণে ফের এক রোহিঙ্গার পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠিয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ির চেরারকুল সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে এ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। 

আহত রোহিঙ্গা মো. কাদের (৫০) ২০১৭ সালের আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির চেরারকুলে ৬নং ওয়ার্ডে বাস করছিল। সে মৃত মীর আহম্মেদের পুত্র। তিনি পেশায় কৃষক।

এ নিয়ে গেল ২০ দিনে সীমান্তে তিনটি মাইন বিস্ফোরণে দুই বাংলাদেশি কৃষকের পা বিচ্ছিন্ন ও এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন রোহিঙ্গা আহত হন।

সীমান্তের বাসিন্দারা জানায়, অনেক সময় কৃষকদের গরু মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি চলে যায়। আর এসব গরু আনতে গিয়ে মিয়ানমার বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইনে পা দিয়ে গুরুতর আহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মঙ্গলবার দুপুরেও নাইক্ষ্যংছড়ির চেরারকুল সীমান্তে গরু আনতে গিয়ে মিয়ানমারের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে এক কৃষক আহত হন এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় একটি পা।

পা হারানো মো. কাদেরের ভাই মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সীমান্তে গরু খুঁজতে গিয়েছিলাম। সেখানে মিয়ানমারের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরিত হয়ে আহত হয়। বিস্ফোরণের পরে স্থানীয়রা খোঁজাখুজি করে কাদেরকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে। 

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, মাইন বিস্ফোরণে আহত রোগীর ডান পায়ের মাংশপেশী উড়ে গেছে। কিছু হাঁড় রয়েছে, তাও রক্ষা করা যাবে না। রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ, তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার মতো না। আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর গরু আনতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে সীমান্তের হেডম্যান পাড়ার যুবক গুরুতর আহত হয়ে একটি পা বিচ্ছিন্ন হয়। আর গত রোববার মাছ শিকারে গিয়ে সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয় ও আরেকজন আহত হন।

এমএইচ

×