ছিনতাই। প্রতীকী ছবি
মাদারীপুরের রাজৈরে র্যাব পরিচয়ে দিনদুপুরে ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারের চালকসহ ৪ ছিনতাইকারীকে ধরে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার ( ৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গিয়াস শেখ (৪০) ও তার শ্বাশুড়ি মিনারা বেগম (৫০) টেকেরহাট উত্তরা ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে। একই উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের বাড়িতে ভ্যানগাড়িতে যাবার পথে উপজেলার বৌলগ্রাম নাম স্থানে পৌছালে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে ।
আটকৃত চালকসহ ৪ ছিনতাইকারীরা হলো- শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জব্বার খার ছেলে আলমগীর খান (৩৫), পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা চর কাজল গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে রাসেল মাতুব্বর (৩৪),মাদারীপুরে শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার বাবু মাতুব্বরের ছেলে জসিম মাতুব্বর (৩০) ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর গ্রামের মমিন সরদারের ছেলে আয়ুবালি সরদার (৪৫) । গুরুতর আহত এই ৪ ছিনতাইকারীকে পুলিশ পাহারায় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে ।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের গিয়াস শেখ (৪০) ও তার শ্বাশুড়ি মিনারা বেগম (৫০) উপজেলার টেকেরহাট বন্দর উত্তরা ব্যাংক শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করে একই উপজেলার গ্রামের বাড়ি নারায়নপুর ভ্যানগাড়িতে যাবার পথে উপজেলার বৌলগ্রাম নাম স্থানে পৌছালে র্যাব পরিচয়ে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকার দিয়ে গতিরোধ করে এবং তোদের কাছে ইয়াবা আছে - এই কথা বলে ভ্যানযাত্রীদের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা ।
এ সময় ছিনতাইয়ের শিকার ওই ভ্যান যাত্রীরা আত্মচিৎকার করতে থাকে । এ আত্মচিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ধাওয়া করে ছিনতাইকারী মাইক্রোবাসটিকে একই উপজেলার কদমবাড়ি বাজারে গিয়ে আটক করতে সক্ষম হয় ।
পরে চালকসহ ৪ ছিনতাইকারীদের আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা। এ সময় উত্তেজিত জনতা প্রাইভেটকারটিকে ভাঙচুর করে পার্শ্ববর্তী খাদে ফেলে দেয় । পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত ৪ ছিনতাইকারী ও ছিনতাইকারীদের নির্যাতনের শিকার আহত গিয়াস শেখকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ।
প্রাইভেটকার আটককারী কদমবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানায়, মোবাইলে খবর পেয়ে ওই প্রাইভেটকারটি কদমবাড়ি বাজারে আসলে থামানোর জন্য সিগন্যাল দেই । এ সময় সিগন্যাল না মেনে গাড়িটি দ্রুত বেগে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই মুহুর্তে মোটরসাইকেল দিয়ে ধাওয়া করে প্রাইভেটকারটি আটক করতে সক্ষম হই।
উত্তরা ব্যাংক টেকেরহাট শাখার ম্যানেজার মো. রাসেদুল হাসান জানান, গ্রাহকদের পুলিশ পাহারায় টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা আছে কিন্তু সে ক্ষেত্রে যদি কেউ তার ইচ্ছা মতো টাকা নিয়ে চলে যায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই ।
রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানায়, তদন্ত করে ছিনতাইকারী চক্রের পুরো গ্যাংটিকে ধরার চেষ্টা করবো ।
এর আগেও টেকেরহাটস্থ ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক থেকে উত্তোলিত টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বেশ কয়েকজন গ্রাহক এমনি ভাবেই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে বড় অংকের টাকা খুইয়েছেন ।
এসআর